Jadavpur student death: ছাত্র পড়ে যাওয়ার পর ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল রক্ত, যাদবপুর কাণ্ডে সামনে আসছে নানা তথ্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হস্টেলে থাকতে শুরু করার প্রথম দিন থেকেই ছাত্রের উপর মানসিক অত্যাচার করা হয়েছিল। এমনকী জোর করে অশ্লীল কথা বলানো এবং সিনিয়রদের ঘরের কাজ করানো হতো। যদিও এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। তবে সেই অসঙ্গতি কাটাতে ধৃত সৌরভ চৌধুরী এবং অঙ্কন সরকারকে নিজের চেম্বারে দফায় দফায় জেরা করেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান শঙ্কর শুভ্র চক্রবর্তী সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা। ওই দুজনকে ছাড়াও নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার এবং সত্যব্রত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন নগরপাল।

আরও পড়ুন: পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তনী

কীভাবে নবাগতদের অত্যাচার করা হতো শনিবার ধৃত তিনজনকে আদালতে পেশ করার সময় ব্যাখ্যা করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। আদালতে তিনি দাবি করেছিলেন, পাঁচিল দিয়ে হাঁটানো হতো নবাগতদের। তাছাড়া নানা ধরনের অত্যাচার করা হত। তদন্তে নেমে সেই ধরনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্তের রিপোর্টও আদালতে জমা দিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি। ৯ অগস্ট হস্টেলের ৩ তলার বারান্দা থেকে রহস্যজনকভাবে পড়ে মৃত্যু হয় ছাত্রের। এরপর পুলিশ হস্টেল ঢুকতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। জানা যায়, এই ঘটনার পরে যে জেনারেল বডির বৈঠক ডাকা হয়েছিল তাতে শেখানো হয়েছিল পুলিশকে কী বলতে হবে। শুধু তা নয়, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ছাত্র সংসদের এক প্রাক্তন নেতা এবং হস্টেলের প্রাক্তন আবাসিকের ছত্রছায়ায় সৌরভ সেখানে থাকত। তাদের নির্দেশ মেনেই চলত হস্টেল। ওই দুজনের নির্দেশ মেনেই জেনারেল বডির বৈঠক ডেকেছিল সৌরভ। এই অবস্থায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সে ক্ষেত্রে ওই দুজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আবার এই ঘটনায় অনেকেই অভিযোগ করেছে, পুলিশ নিজের ইচ্ছেমতো গ্রেফতার চালাচ্ছে। তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। যদিও পুলিশের দাবি, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে দ্রুতদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি হস্টেল সুপারের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে ১১ টার সময় জেনারেল বডির বৈঠক চলাকালীন তিনতলার বারান্দা থেকে হৈচৈ শোনা যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ওই পড়ুয়া। উলঙ্গ অবস্থায় ছিল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র। এরপর আচমকা দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। এমনকী ছাত্র পড়ে যাওয়ার পর রক্ত জল দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে বৃষ্টি হয়ে সব ধুয়ে যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।