রবিবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি জানিয়েছেন, তিনি দুটি বিলে সই করতে চাননি। এগুলিকে আইনে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আইনের মাধ্য়মে রাষ্ট্র ও মিলিটারির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্ত সেই বিলে সই করেননি পাক রাষ্ট্রপতি। খবর রয়টার্স সূত্রে।
আলভি একটা সময় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফে ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সংসদের দুই কক্ষেই বিলটা পাশ হয়েছে। তারপরেও তাতে সই করেননি রাষ্ট্রপতি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, ভগবান সাক্ষী আমি সই করিনি। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩ ও পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩ তে আমি সই করিনি। কারণ আমি এই বিলগুলিকে মানতে পারছি না।
তিনি জানিয়েছেন,আমি আমার স্টাফদের বলেছি সই ছাড়াই বিলগুলি যেন ফেরত দিয়ে দেয়। কারণ এগুলি তাতে কার্যকরী হবে না। এদিকে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা উদ্বেগের। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুটো অপশন আছে। হয় তোমরা রাজি হয়ে যাও। অথবা পর্যবেক্ষণের জন্য সংসদে ফেরত দাও। কিন্তু তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা পাক সংবিধানের যে রীতি তার বিরুদ্ধ।
এদিকে সংবিধান বলছে, যদি রাষ্ট্রপতি কোনও বিলকে সই না করে ফেরত পাঠিয়ে দেন ১০ দিনের মধ্যে তবে এটা সংসদে পাশ হয়ে থাকলে সেটা আইনে পরিণত করা হবে।
অস্থায়ী আইনমন্ত্রী আহমদ ইরান জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট সই না করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর সেটা ১০দিনের মধ্য়ে। এটা আইনে পরিণত হবে।
কেয়ারটেকার তথ্যমন্ত্রী মুর্তাজা সোলাঙ্গি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সোশ্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তিনি কী বললেন এসবের কোনও সারবত্তা নেই। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে আপত্তি জানাননি। আসলে তিনি বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন। এটার আইনগত কোনও মূল্য নেই।
তবে এবার এই বিল শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হয় কি না সেটাই এখন দেখার।