সৌদি সীমান্তরক্ষীদের হাতে নিহত শতাধিক অভিবাসী: প্রতিবেদন

সৌদি সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেন সীমান্তে অভিবাসীদের গণহত্যার অভিযোগ পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, গত এক বছরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইয়েমেন হয়ে সৌদি আরবে আসা শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে সৌদি সীমান্তরক্ষীরা। সৌদি আরব অবশ্য পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্যাটেলাইটের ছবি ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘তারা আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছে’– শিরোনামে প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে ইয়েমেনের উত্তর সীমান্তে অভিবাসীদের গুলি করেছে সৌদি পুলিশ এবং সেনারা। কখনও কখনও তারা বিস্ফোরক দিয়েও অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করা অভিবাসীরাও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করছেন। তারা জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে তেল সমৃদ্ধ রাজ্যে কাজের সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টার সময় তাদের ওপর গুলি করা হয়।  

ইথিওপিয়ার নাগরিক ২১ বছর বয়সী মোস্তফা সুফিয়া মোহাম্মদ বিবিসিকে বলেন, ‘গত বছরের জুলাই মাসে সীমান্ত পেরিয়ে লুকিয়ে ঢোকার চেষ্টার সময় তাদের ৪৫ জনের মধ্যে কয়েকজন সৌদি সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক টের পাইনি যে আমাকে গুলি করা হয়েছে। যখন উঠে হাঁটার চেষ্টা করি তখন দেখি আমার পায়ের একটি অংশ নেই।’

 

 

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার মতে, বছরে দুই লাখের বেশি মানুষ হর্ন অব আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইয়েমেনে পাড়ি দেয়। তারপর সেখান থেকে তারা সৌদি আরবে ঢোকার চেষ্টা করে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই যাত্রায় অনেকেই কারাভোগ বা মারধরের শিকার হয়েছেন।

 

সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া

অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার কথা জানালেও হত্যাকাণ্ডগুলো পরিকল্পিত বা বড় পরিসরে ছিল না বলে দাবি করেছে সৌদি সরকার। রিয়াদ জানায়, অভিযোগগুলো সীমিত তথ্যের ভিত্তিতে আনা হয়েছে। এগুলো নিশ্চিত করার জন্য কোনও তথ্য বা প্রমাণ খুঁজে পায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: বিবিসি