যাদবপুের সামাজিক বয়কটের শিকার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) কর্মীরা। যা কার্যত র্যাগিং-এর সামিল বলে মনে করে তারা। তাই এই সামাজিক বয়কটের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল টিএমসিপি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট। সংগঠনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে তাঁদের মূল দাবি ছিল, ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনমে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগাতে হবে।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর রাজন্যা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বলেছি, ১০ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে যদি সিসিটিভি না বসানো হয়, তা হলে আমরা নিজেরাই তা লাগানোর বন্দোবস্ত করব।’
শুক্রবারই একটি বৈঠকের পর রাজন্যাকে টিএমসিপি-র যাদবপুর বিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। রাজ্যের অন্যান্য কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির দাপট থাকলে যাদবপুরে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে কেন্দ্র করেই জায়গা তৈরি করতে চাইছে তারা। এ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারণে রাজন্যার নেতৃত্বে ইউনিটকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে টিএমসিপি।
(আরও পডুন। ক্যাম্পাসে নেশা করা অধিকার’!বলে নিন্দার মুখে যাদবপুরের ছাত্রী, পরে চাইলেন ক্ষমা)
দায়িত্ব নিয়েই রাজন্যা সিসিটিভি লাগানোর দাবিতে রেজিস্ট্রারকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি নিজে যাবদপুরে বিএড করছেন। আবার অন্য জায়গা থেকে পিএইচডিও করছেন। শনিবার টিএমসিপি কর্মীদের নিয়ে তিনি যখন স্মারকলিপি দিতে যান যা সেই সময় অরবিন্দ ভবনের সামনে বিক্ষোভে দেখাচ্ছিল বাম পডুয়ারা। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয় এলাকা। যদিও কোনও অপ্রতিকর পরিস্থিতি ঘটেনি।
(পড়তে পারেন।রাজ্যপাল বোসের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন গণিতের অধ্যাপক)
রাজন্যা জানিয়েছেন, ডেপুশন দেওয়ার পর তাঁরা ১০ দিন দেখবেন তারপর কর্মীদের নিয়ে নিজের ক্যাম্পাসের মধ্যে সিসিটিভি লাগাবে।