Yasser Haida: তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ ফিরহাদের জামাইয়ের, পাত্তা দিচ্ছে না ঘাসফুল

তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ও পুর ও নগোরন্নয়নমন্ত্রীর ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দার। শনিবার অধীররঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। ইয়াসির যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।

শনিবার তিনি বিধানভবনে পৌঁছে যান। সেখানে তিনি অধীর চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে তার এই কংগ্রেসে যোগ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শনিবার ইয়াসির অধীর চৌধুরীর পাশে বসে বলেন,’আমি যে দলে আগে ছিলাম সেখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। কংগ্রেস ভেঙেই তো তৃণমূল হয়েছিল। তাই আবার কংগ্রেসে যোগ দিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমি এ সবে সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি আমার সবটুকু দিয়ে কাজ করছিলাম। কিন্তু ২০২১ কেন আমায় প্রার্থী করা হল না বুঝতে পারলাম না। উচ্চ-নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’  ইয়াসিরের দাবি তিনি ২০২১ সালেই তৃণমূল ছেড়ে দেন।

জামাইয়ের এই দলবদলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না শ্বশুর ফিরহাদ হাকিম। তিনি প্রতিক্রিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন,’আমার মনে হয় কংগ্রেস দলটাই এবার উঠে যাবে। যাঁরা আত্মীয়স্বজন নিয়ে কারবার করেন তাঁরা দল করেন না। কেউ যদি নেতা হন তাঁর পরিচয় কি তখন হতে পারে তিনি ফিরহাদ হাকিমের লোক?’

(পড়তে পারেন। কলকাতা পুরসভার অন্দরে রণক্ষেত্র চেহারা, শাসক–বিরোধী কাউন্সিলরদের মারপিঠ)

২০২১ সালে টিকিট না পেয়ে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ইয়াসির। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। ববির জামাই লেখেন, ‘যারা দিন রাত দলের কাজ করে তাদের কেউ পাত্তা দেয় না। টিকিট নিয়ে যায় সেলিব্রিটিরা।’

এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ও কিছু না। ওঁদের কজন চেনেন।’

প্রসঙ্গত, ববির সঙ্গে তাঁর জামাইয়ের সম্পর্কের অবনতির খবর বছর কয়েক আগে শিরোনামে আসে। সে সময় যাদবপুর থানার পুলিশ ইয়াসিরকে আটকও করে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।