হিন্দু ক্যালেন্ডার–পঞ্জিকা ব্যবহার করুন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ ডিজি’‌র

এবার অপরাধ দমনে হিন্দু ক্যালেন্ডার ব্যবহার করার নিদান দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই নিদান দিয়েছেন স্বয়ং যোগী রাজ্যের পুলিশের ডিজি। আর এই নির্দেশ প্রকাশ্যে চাউর হয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা অনুযায়ী কোন অপরাধ বাড়ছে তার নজরদারি করতে হবে। যোগী রাজ্যের সমস্ত থানায় এই নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমন ঘটনা আগে ঘটেছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। সুতরাং হিন্দু ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা ব্যবহার করার নিদান আসলে বিভেদের কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।

যোগী রাজ্যের পুলিশের মধ্যে কি এবার বিভেদ ঘটছে?‌ এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি রাতের অন্ধকারে অপরাধ দমনের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় থানাগুলির ইনচার্জকে হিন্দু ক্যালেন্ডারের অমাবস্যার তারিখের এক সপ্তাহ আগে এবং এক সপ্তাহ পরে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে বলে নিদান দিয়েছেন। এমনকী এই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির ক্রাইম ম্যাপিং করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। এই সার্কুলারে ১৪ অগস্ট তারিখের উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ নির্দেশিকাটি সংশ্লিষ্ট তারিখে জারি হয়েছে। আজ, ২১ অগস্ট। এক সপ্তাহ আগে এই নির্দেশিকা জারি হলেও মাথায় হাত পড়েছে পুলিশ অফিসারদের। এমন নির্দেশিকার কারণ তাঁদের অজানা।

কেন এমন নির্দেশিকা জারি?‌ এই নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‌প্রত্যেক জেলায় ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাক্রম পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ঘটনা রাতে ঘটছে। তাই হিন্দু ক্যালেন্ডারের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথির ১ সপ্তাহ আগে এবং ১ সপ্তাহ পরে রাতে বাড়তি নজরদারি করতে হবে। প্রত্যেক মাসে এই পর্যালোচনা করতে হবে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের।’‌ ডিজিপি বিজয় কুমার এমন নির্দেশিকা পাঠানোয় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সরাসরি কেউ মুখ না খুললেও কানাঘুষো এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে পুলিশের মধ্যে।

আরও পড়ুন:‌ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে কত আসন পাবে বিজেপি?‌ ধর্মেন্দ্রর মন্তব্যে বিতর্ক

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই নির্দেশিকায় তিনটি তারিখের উল্লেখ রয়েছে। ১৬ অগস্ট, ১৪ সেপ্টেম্বর এবং ১৪ অক্টোবর। এই তিনটে তারিখের সপ্তাহে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতের টহলদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। নিরাপত্তার পরিবেশ যে তৈরি হয়েছে সেটা মানুষের মনে স্থান পাবে এই পথে হাঁটলে বলে মনে করছেন পুলিশের ডিজি। এই কাজের পর পুলিশ সদস্যরা হটস্পট চিহ্নিত করে টহল দেবে। রাতে সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সিসিটিএনএস এবং ডায়াল ১১২ থেকে তথ্য মিলিয়ে ক্রাইম ম্যাপিং করা উচিত। অমাবস্যা তিথির আশেপাশে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এমন স্থানগুলি চিহ্নিত করা উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। ডিজিপি বিজয় কুমারের তিন পাতার সার্কুলার–সহ থানায় পাঠানো পঞ্জিকা, অগস্ট মাসের জন্য হিন্দু ক্যালেন্ডারও পাঠানো হয়েছে।