যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা পোশাক ক্যাম্পাসে কারা?‌ জানতে মামলা করল পুলিশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা পোশাক পরে কিছু ছেলে–মেয়ে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়ে জলঘোলা হতেই এবার রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ আর্টসকে তলব করল যাদবপুর থানার পুলিশ। একইসঙ্গে এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোসাইটি সংস্থার প্রধান কাজি সাদেক হোসেনকেও তলব করা হয়েছে। কার অনুমতিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল তারা?‌ এই প্রশ্নের উত্তর জানতে তলব করা হয়েছে। যে সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে ২০ জন যুবক–যুবতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন সেই সংস্থার প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেনাবাহিনীর পোশাক পরে তারা কীভাবে অরবিন্দ ভবনের কাছে পৌঁছল?‌ উত্তর খুঁজতে তলব করেছে পুলিশ।

এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা দায়ের করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মামলায় শীঘ্রই তলব করতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকেও। গোটা বিষয়টি নিয়ে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌একদল ছেলে–মেয়ে ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তারা দাবি করে, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি। কিন্তু তাদের কাছে নথি চাওয়া হলে তারা তা দেখায়নি।’‌ বুধবার সকালে হঠাৎ দেখা যায় ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেনা পোশাকে উর্দিধারীরা। পুলিশের কাছেও খবর পৌঁছলে বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় মামলা করে পুলিশ।

অন্যদিকে যাদবপুর থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ২৫–৩০ জনের একটি দল প্রবেশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। এঁদের প্রত্যেকেরই পরনে ছিল সেনার মতো পোশাক। মাথায় লাল টুপিতে লেখা ছিল ‘ভারতীয় সেনা’। ভারতীয় সেনার প্রতীকও ব্যবহার করেছিল তারা। এই ঘটনা চাউর হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কেন তারা ওখানে এসেছিল?‌ এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। ওই ব্যক্তি কাজি সাদেক সিদ্দিকী থানায় গিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ বাঁকুড়ার ছাতনায় ৬ দিনে তিনজনের মৃত্যু, এলাকা পরিদর্শনে গেলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সেনাবাহিনীর নকল পোশাক পরে আসা ওই দলের নেতা কাজি সাদেক সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘‌আমরা বিশ্ব শান্তি সেনা।’‌ পুলিশ এই ঘটনায় একদিকে যেমন চিন্তায় পড়েছে তেমনই ভারতীয় সেনার নাম এবং প্রতীক অপব্যবহারের জন্য মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সব তথ্যও খতিয়ে দেখছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও খবর। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের উপাচার্য বলেন, ‘‌তারা নিজেদের মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। এমনকী বৈঠক করার কথা বলে। তাদের আমি সময়ও দিয়েছিলাম। আর লিখিত পরিচয় জানাতে বলেছিলাম।’‌