Duttapukur Blast: ‘কাঁচের ঘরে বসে…’ দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে আসরে নামলেন কুণাল, খোঁচা শুভেন্দুকে

দত্তপুকুরের ঘটনা ফের আয়নার সামনে দাঁড় করিয়েছে রাজ্য সরকারকে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব কী করে চলত? অভিযোগ করা হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চুপ করেছিল। এখানে বাজি নয়, বোমা তৈরি করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, ফের দত্তপুকুর নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা করা শুরু হয়ে গেল।

এবার গোটা ঘটনা নিয়ে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ।

তিনি টুইট করে লিখেছেন, সেই একই কায়দায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তিনি আসল কথাটা ভুলে গিয়েছেন।

কুণাল ঘোষ লিখেছেন, এগরাতে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা ১০০ দিনের কাজ না পেয়ে ওই কাজ করতে বাধ্য হতেন। কারণ বিজেপি সরকার সেই টাকা আটকে রেখে দিয়েছে।

সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগ পার্টিতে এসেছিলেন আর কারোর নয়, শুভেন্দু অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের হাত ধরে। আর তিনি চলে যেতেই ভানুও বেরিয়ে যান।

এখনই উপযুক্ত সময় কাঁচের ঘরে বাস করে ঢিল ছুঁড়বেন না।

 

এবার জেনে নিন শুভেন্দু অধিকারী তার আগে টুইট করে ঠিক কী লিখেছিলেন?

শুভেন্দু টুইট করে লিখেছিলেন, আবার বিস্ফোরণ বাংলায়। এবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। এখনও মৃতদেহ গোনার কাজ চলছে। খুব সম্ভবত সেটা ১০ ছাড়িয়ে যাবে। এরপর তিনি বিস্ফোরণস্থলের কিছু ছবি তুলে ধরেন। সেখান দেখা যায় একেবারে ভেঙে পড়েছে বাড়ি। বাজি ফেটে পাাকা বাড়ি কীভাবে ভেঙে পড়তে পারে এটা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। এমনকী এই ঘটনায় তৃণমূল আর আইএসএফের মধ্যেও তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির দাবি,এনআইএ তদন্ত করা হোক। আমাদের মনে হচ্ছে এখানে আরডিএক্স তৈরি হত। ভালো করে তদন্ত করা হোক।

এদিকে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ২০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে দেহাংশ। ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এর পেছনে পুলিশ, প্রশাসনের হাত ছিল। তারা নিয়মিত এখান থেকে টাকা তুলত। সেকারণে সব জেনেও চুপ করে থাকত।