যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপশেখর দত্ত ও মনোতোষ ঘোষকে। তাদের বিরুদ্ধে এবার নতুন ধারা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশকে বাধা দেওয়ার ধারা যুক্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে। ৩০ অগস্ট পর্যন্ত তাদের পুলিশের হেফাজতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান, এতদিন কি পুলিশের হুঁশ ছিল না? এখন ৩৫৩ ধারা যুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। এরা তো পুলিশ হেফাজতে ছিল। আসলে ওপরমহলকে সন্তুষ্ট করার জন্য় এসব করা হচ্ছে।
এদিকে দীপশেখর, মনোতোষদের সঙ্গে সেদিন আরও কয়েকজন পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাদেরকে চিহ্নিত করতে চাইছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, দীপশেখর দত্ত অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মনোতোষ সমাজবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই চিঠিটি দীপশেখরের লেখা বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে সই সংক্রান্ত কিছু কারচুপি করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ এনিয়ে তদন্ত করছে। ইংরেজিতে লেখা সেই চিঠি আদপে কে লিখেছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরকারি আইনজীবী আবেদন জানিয়েছেন দীপশেখরের হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখা হোক।
অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী জানিয়ে দেন, ঘটনার পরে ১৪ দিন কেটে গিয়েছে। ওরা এখনও কিছু বলেনি। বুঝতেই পারছেন বাচ্চা ছেলের মতো কাজ ওরা করছেন না। পরিণতর মতো কাজ করছেন। এই দুজন গেট বন্ধ করে রেখেছিল। পুলিশকে হাসপাতালে ঢুকতেও এরা বাধা দিয়েছিল। সরকারি আইনজীবীর দাবি, এরাই ছাত্র ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পরেও পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত যাদবপুরের হস্টেলের ছাত্র থেকে পড়ে গিয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।