‘‌অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করব…..’‌, মেয়ো রোডের সভায় জানালেন মমতা

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই অভিযোগ আগেও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার ধর্মতলায় ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক দাবি করলেন। তাতে রাজ্য– রাজনীতি কার্যত টলে গেল। তাঁকে মেসেজ পাঠিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এমন মেসেজ তিনি আজ প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এখন তা নিয়ে গোটা রাজ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কে এমন মেসেজ পাঠাল?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ঠিক কী মেসেজ করা হয়েছে?‌ আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা থেকে বলেন, ‘‌কালকে আমাকে একজন মেসেজ দিয়েছে। অভিষেককে ভোটের আগে গ্রেফতার করা হবে।’‌ এই নিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশির কথাও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করে যাওয়ার কথা বলেছেন অভিষেক। মমতার আগে তিনিই বক্তব্য রাখেন। আর কার্যত ইডি–সিবিআইয়ের ছকের কথা বলে যান। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ‘‌আমি যেদিন ফিরলাম। তার পরের দিন ইডিকে পাঠিয়েছে রেড করতে। তল্লাশি করেছে তার সঙ্গে সঙ্গে ১৬টা ফাইল কম্পিউটারে ডাউনলোড করে দিয়ে চলে এসেছে। আমি বলছি এই ফাইলটাই যদি কয়েকদিন পর ইডি–সিবিআই পেত তাহলে এই সংবাদমাধ্যম বলত অভিষেকের অফিস থেকে কলেজের লিস্ট পাওয়া গিয়েছে।’‌

এই বক্তব্যের রেশ ধরেই আজ বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তুলোধনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের পর একই অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌তোমরা যদি কম্পিউটার ওস্তাদ হও আমরাও কম বড় ওস্তাদ নই। আমরাও তথ্য বের করে নিয়েছি। কখন কোন সময়ে ওই ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছিল। সেটা আমরা জানতে পেরেছি। লালবাজারে অভিযোগও করা হয়েছে। ওই কর্মচারীকেও ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌যাদবপুরে সিসিটিভি লাগাবই কেউ ঠেকাতে পারবে না’‌, ছাত্র সমাবেশ থেকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

কে মুখ্যমন্ত্রীকে এমন মেসেজ করেছে?‌ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করা হবে এমন মেসেজ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর মোবাইলে। যা আজ তিনি খোলসা করেছেন। তবে কে পাঠিয়েছে?‌ সেটি তিনি গোপন রেখেছেন। এমন মেসেজ নিয়ে নিশ্চয়ই তিনি তদন্তের সাহায্য নেবেন। সেটি নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। তবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আগে এই মেসেজের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। গত সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তারপর একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল, অভিষেক আগে এই সংস্থার শীর্ষ পদে ছিলেন। সেটিই প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। চলে টুইট যুদ্ধ।