General coach in train: কম যাত্রী থাকলে সংরক্ষিত স্লিপার কোচকে জেনারেল বগি করে দেওয়া হোক, নির্দেশ রেলের

কোনও ট্রেনের সংরক্ষিত স্লিপার ক্লাসগুলি কি একেবারে ফাঁকা থাকছে? বেশি যাত্রী হচ্ছে না? হাতেগোনা যাত্রী নিয়ে ওই কোচগুলি টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এরকম ট্রেনগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য আঞ্চলিক রেলওয়েকে নির্দেশ দিল রেলওয়ে বোর্ড। সেইমতো সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলির সংরক্ষিত স্লিপার ক্লাসের কোচগুলিকে অসংরক্ষিত স্লিপার ক্লাসে পরিণত করে ফেলা হবে। যাতে জেনারেল কোচে যে ঠাসা ভিড় থাকে, সেটা কিছুটা কমানো যায়। অর্থাৎ যেমন এখন জেনারেল কোচ আসে, সেরকম তো থাকবেই। সেইসঙ্গে ফাঁকা থাকা স্লিপার ক্লাসগুলিকে অসংরক্ষিত কোচে পরিণত করে জেনারেল কোচের ভিড় কিছুটা কমিয়ে ফেলা হবে। যদিও রেলযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, আলাদা করে সেই পদক্ষেপ করার কী আছে? কারণ এখন তো একাধিক লাইনে সংরক্ষিত স্লিপার ক্লাসই জেনারেল কামরা হয়ে যায়। যাঁরা স্লিপার কোচের টিকিট কেটে যান, তাঁদের চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। এমনকী এসি থ্রি-টিয়ার কোচেও বাইরে থেকে লোকজন উঠে পড়েন। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, রেল যে সিদ্ধান্ত নিল, তাতে অবশেষে সংরক্ষিত কামরায় বাইরের লোকেদের দৌরাত্ম্য কমবে। যাঁদের অনেকেই জেনারেল কোচের ভিড়ে উঠতে না পেরে সংরক্ষিত কামরায় চলে আসেন বলে ধারণা ওই মহলের।

গত ২১ মে রেলের অভ্যন্তরীণ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘জেনারেল স্লিপার ক্লাসের কোচকে জেনারেল (অসংরক্ষিত) কোচে পরিণত করার নির্দেশ জারি করেছে রেলওয়ে বোর্ড। বিশেষত যে দিনের বেলা চলা যে ট্রেনগুলিতে যাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকে বা চাহিদা কম থাকে।’ সেইসঙ্গে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে, যে যে ট্রেনের সংরক্ষিত স্লিপার কোচে যাত্রীর সংখ্যা কম, সেই ট্রেনগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলির সংরক্ষিত স্লিপার কোচগুলিকে জেনারেল কোচে পরিণত করার জন্য রেলওয়ে বোর্ডের কাছে সুপারিশ পাঠাতে হবে রেলের বিভিন্ন জোনকে।

আরও পড়ুন: Orange Vande Bharat Express: যেন বিদেশের ট্রেন! নামল ‘স্টাইলিশ’ গেরুয়া বন্দে ভারত, কোন রুটে প্রথম চলবে?

কেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও ওই বার্তায় জানানো হয়েছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র হাতে আসা রেলওয়ে বোর্ডের সেই বার্তার কপিতে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, নিত্যযাত্রীরা যাতে লাভবান হন এবং রেলের আয় বৃদ্ধি পায়, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।’

আর রেলের সেই সিদ্ধান্তের কারণ আরও কিছুটা ব্যাখ্যা করে নাম গোপন রাখার শর্তে এক রেল কর্তা জানিয়েছেন, অসংরক্ষিত কোচে মারাত্মক ভিড়ের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কারণ যতক্ষণ না কোনও স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়া হচ্ছে, ততক্ষণ ওই ট্রেনের জেনারেল কোচের টিকিট দেওয়া হয়। কোনও সর্বোচ্চসীমা থাকে না। ফলে দেদার টিকিট দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: Railways ticket concession: ‘প্রত্যেক যাত্রীকেই ৫৫% ছাড়….’, ট্রেনের টিকিটে ‘কনসেশন’ নিয়ে মুখ খুললেন মন্ত্রী

নাম গোপন রাখার শর্তে এক প্রাক্তন রেলকর্তা বলেন, ‘গত কয়েক বছরে এসি কোচের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জেনারেল কোচের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে রেল। যা জেনারেল কোচে মারাত্মক ভিড়ের অন্যতম কারণ। যে এসি কোচে লাভ বেশি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর পর জনসাধারণ এক্সপ্রেস বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে। কারণ সেগুলি থেকে লোকসান হচ্ছিল বলে মনে করা হয়।’