Ragging in Gurudas College: গুরুদাস কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে, তদন্তে পুলিশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই গুরুদাস কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ইউজিসির কাছে ইমেইল মারফত র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ জানিয়েছেন ওই কলেজের এক পড়ুয়া। তিনি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহম চক্রবর্তী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই মামলার রুজু করল কলকাতা পুলিশ। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন প্রাক্তনী। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের র‌্যাগিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে ফুলবাগান থানার পুলিশ। শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারকের অনুমতি নেওয়ার পর এই মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গুরুদাস কলেজে TMCP ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ, রিপোর্ট তলব UGC-র

এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই পালটা কলেজ কর্তৃপক্ষকে মেল করে পদক্ষেপ করতে বলেছে ইউজিসি। সেই সঙ্গে ওই ছাত্রের কাউন্সেলিং করানোর পাশাপাশি তাঁর নাম গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এসএফআইয়ের অভিযোগ, আট বছর ধরে ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে রয়েছেন সোহম। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য জোর করতেন। এমনকী না গেলে হুমকিও দেওয়া হতো। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ওই ছাত্রকে যাওয়ার জন্য জোর করেছিলেন সম্পাদক। সভায় না গেলে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপরে ইমেল মারফত ইউজিসির কাছে অভিযোগ জানান ওই ছাত্র।

ইতিমধ্যেই কলেজের অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য রেখেছেন সোহম। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় র‌্যাগিংয়ের ঘটনা রুখতে অ্যান্টি র‌্যাগিং হেল্পলাইন চালু করেছেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। যাদবপুরের ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ। এই অবস্থায় দলের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই ইউজিসির নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও তারা কী পদক্ষেপ করেছে তা জানাতে চায়নি। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে কলেজের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। তবে কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? কোন পড়ুয়ার অভিযোগ রয়েছে? এ বিষয়ে রিপোর্ট হাতে পেলেই জানানো হবে। পাশাপাশি ওই পড়ুয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।