‘‌অভিষেক একা নয়, অনেককেই ভিতরে যেতে হবে’‌, রাখির দিন হুঙ্কার ছাড়লেন দিলীপ

সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি পদ চলে গেলেও তিনি আছেন নিজের স্বমেজাজেই। এখনও তিনি আক্রমণ করে যাচ্ছেন। তাই এদিন তাঁর কটাক্ষ, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রতিভা আগে বাংলায় আসেনি। উনি চা বানাতে জানেন, মিষ্টি বানাতে জানেন, জুতো সেলাই জানেন, গান গাইতে জানেন, নাচতে জানেন, আর কি করে ভোটে জিততে হয় পা ভেঙে সেটাও জানেন। তাই আমাদের বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন’। রাখি পূর্ণিমার দিন সাংসদ দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন।

কয়েকদিন আগে চন্দ্রযান–৩ চাঁদে পৌঁছনোর পর রাকেশ শর্মার কথা বলতে গিয়ে মুখ ফস্কে রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল বলে ফেলেন। এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে যায়। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌নজরুল ইসলামকে দিয়ে মহাভারত লিখিয়ে নিচ্ছেন। আমার মনে হয় রাহুল গান্ধীকে নিয়ে আমাদের আর চিন্তা করতে হবে না। দিদিই যথেষ্ট আনন্দ দেওয়ার সামগ্রী আমাদের পরিবেশন করছেন’। দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘নিরাপত্তা জিনিসটা বহু আগে বাংলা থেকে উঠে গিয়েছে। জীবনের সুরক্ষা নেই, সম্পত্তি, দোকান, মহিলাদের সুরক্ষা নেই। কোলাপস করে গিয়েছে।’‌

এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী একটি মেসেজ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়। এটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই মেসেজ বিতর্ক নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কী করবেন মেসেজ এসেছে তো! উনি কি এবার বাঁচাতে পারবেন যদি গ্রেফতার করে? হয়তো সময় ঘনিয়ে এসেছে। উনি ভাবছেন পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছে। শুধু অভিষেক একা নয়, অনেককেই ভিতরে যেতে হবে। সেটা উনি বুঝতে পারছেন।’‌

আরও পড়ুন:‌ কাকা অনুব্রতর গ্রেফতারি বার্ষিকী পালন করলেন ভাইপো অনুপম, দেদার বিলি গুড় বাতাসা

অন্যদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যার আজ তৃতীয় দফার বৈঠক মুম্বইয়ে। এই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, ‘‌আমার মনে হয় বছর শেষ হওয়ার আগে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। ওনাদের দলের একটা পরম্পরা আছে। তারা জেলে যান। কেষ্ট গিয়েছেন, পার্থবাবু গিয়েছেন। এবার ওনার সময় এসে গিয়েছে। আমরা বলছি যদি আপনি চুরি না করে থাকেন, ফেস করুন, সত্য বলুন। আর যারা করেছে তাদের ধরিয়ে দিন। এটার যদি অন্যথা হয় তাহলে আপনাকেও কেষ্টবাবুদের কাছে গিয়ে থাকতে হবে।’‌