দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে নস্টালজিয়া ফেরানো হচ্ছে পাহাড়ে, কী চালু হচ্ছে টয়ট্রেনের স্টেশনে?

এবার দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে পাহাড়ে এক নতুন আঙ্গিক নিয়ে আসা হচ্ছে। যার ফলে এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্গাপুজোয় পাহাড়মুখী বাঙালিকে এক সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে কার্শিয়াং। ব্রিটিশ নস্টালজিয়া ফেরাচ্ছে টয় ট্রেনের এই স্টেশন। সেখানে চালু হওয়া অভিনব একটি রেস্তোরাঁ পর্যটকদের জন্য নানা ব্যবস্থা রাখছে। এবার এসেই সেটা দেখতে পাবেন সকলে। যার নাম দেওয়া হয়েছে—‘কাফে ডি সেন্ট্রাল ১৮৮১’।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে?‌ গত পয়লা মার্চ একটি টুইট করেন দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে দুটি ছবি জুড়ে দিয়ে লিখেছিলেন, ‘গেস দিস প্লেস’। রিটুইট করে রেলমন্ত্রক আবার লেখে, এটি একটি ক্যাফেটেরিয়া। তখন রেলমন্ত্রীর পোস্ট করা ওই দু’টি ছবিকে কেন্দ্র করে কৌতূহল তৈরি হয় নেটপাড়ায়। কারণ দেখে মনে হচ্ছিল ব্রিটিশ আমলের কোনও সরকারি বাংলোর ছবি। সর্বত্র কাঠের কাজ করা। মাঝখান দিয়ে উঠে গিয়েছে কাঠের সিঁড়ি। আর ঝুলছে বিশাল একটি ঝাড়বাতি। আসলে ব্রিটিশ আমলে কার্শিয়াং স্টেশনের এখানেই ছিল একটি ফুড কোর্ট। সংস্কারের পর আবার সেটি চালু করা হল নতুন রূপে।

কেমন নস্টালজিয়া থাকছে সেখানে?‌ এখানে ব্রিটিশ আমলের স্মৃতি দেখতে পাওয়া যাবে। রেস্তোরাঁয় ঢোকার মুখেই একটি প্ল্যাটফর্ম। তার উপর রাখা হাতে টানা রিকশা। এই বিষয়ে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের সব ব্যবস্থা থাকছে।’ রেল এই রেস্তোঁরাটি লিজে দিয়েছে। ভিড় টানতে এফএম এবং ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে প্রচার চলছে। দুর্গাপুজোর সময় এখানে বুফে চালু হবে। এখানের মেনুতে থাকছে—চাইনিজ, মোগলাই থেকে কন্টিনেন্টাল। তবে আইসক্রিম ও মকটেল কাউন্টারের সঙ্গে মিলবে দার্জিলিং চা।

আরও পড়ুন:‌ গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গেল, একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ প্রকৃতির কোলে এমন স্টেশন সংলগ্ন কাফে কেউ ভাবতেও পারেন না। কাফে ডি সেন্ট্রাল ১৮৮১ সেটাই করে দেখাচ্ছে। বহু বছর আগে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ন্যারো গেজ পরিষেবাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ১৮৭৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের কাজ শুরু হয়। আর ১৮৮১ সালে সে কাজ শেষ হয়। তখন কার্শিয়াং স্টেশনে ছিল একটি রিফ্রেশমেন্ট রুম এবং বার। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি করা হয়েছিল। এখানেই গড়ে ওঠে কাফে ডি। পুরনো দিনের নানা দুর্লভ ছবি দিয়ে সেজে উঠেছে। দুর্গাপুজোর ছুটিতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে বসে প্রকৃতির বুকে নিজেদের মেলে ধরতে ভালই লাগবে বাঙালির।