বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো দ্রুত মেরামতের আশ্বাস

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সচিব মশিউর রহমান বলেছেন, বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে, আর দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পার্বত্য অঞ্চলের বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি সড়কগুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন সচিব।

এ সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও প্রকৃত সংস্কার খরচ কত হতে পারে, তা নির্ধারণ করে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে ব্যয় প্রাক্কলন পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গে মশিউর রহমান বলেন, দুর্যোগ যেকোনও সময়েই আসতে পারে। তাই সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং বিভিন্ন স্থাপনা ও উন্নয়ন অবকাঠামোসহ সড়ক নির্মাণে উঁচু স্থানকে প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যতে পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে, যাতে বন্যা বা বড় দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।

তিনি আরও বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

সফরের প্রথম দিনে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচি উপজেলা সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন দফতরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন তিনি।

পার্বত্য অঞ্চলে পানি সংকট নিরসন প্রসঙ্গে সচিব বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জলবদ্ধতা দূরীকরণে বিজ্ঞানসম্মত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পার্বত্য অঞ্চলে উন্নত মানের তুলা, ইক্ষু, কাজুবাদাম, বিভিন্ন মৌসুমি ফল উৎপাদনকারী কৃষকদের মোটিভেশন করাসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বান্দরবান থানচি রোডে কৃষকদের উৎপাদিত ইক্ষু বাগান, তুলা বাগান, মিশ্র ফল বাগান পরিদর্শন করেন এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। 

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, সদস্য মো. হারুন-অর-রশীদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মুহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।