পুরনো আইফোনের গতি বাড়াবেন যেভাবে 

বিভিন্ন কারণে পুরনো আইফোনের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। এ কারণে আইফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে একবার ১১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানাও গুনতে হয়েছে। যদিও অ্যাপল তখন বলেছিল, ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়াতে তারা এটি করেছিল।

নতুন আইওএস আপডেট করলেই ফোন ধীর গতির হয়ে যায়। এমন একটি ভীতি অ্যাপলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এর গতিকে কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। সম্প্রতি কেভিন ক্যারন নামে এক রিফারবিশমেন্ট এক্সপার্ট ডেইলি মেইলকে পুরোনো আইফোনের গতি বাড়ানোর পাঁচটি কৌশলের কথা জানিয়েছেন।

গতি ধীর করে দেয় এমন অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া

আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় আজকাল আইফোনে অনেক বেশি অ্যাপ দেওয়া থাকে। ব্যবহারকারী যদি অনেক অ্যাপ ইনস্টল করে থাকে তাহলে তা ফোনের গতিকে আরও কমিয়ে দেয়। অ্যাপগুলো সাধারণত র‌্যাম ও সিপিইউ’র রিসোর্স ব্যবহার করে থাকে। অনেক সময় ব্যবহারকারীর অগোচরে ব্যাকগ্রাউন্ডে এগুলো চলতে থাকে এবং ফোনের গতি কমিয়ে দেয়।

সহজেই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে ফোনের সেটিংস থেকে জেনারেলে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশে গিয়ে ওয়াইফাই, ওয়াইফাই অ্যান্ড সেলুলার ডাটা অথবা সম্পূর্ণভাবেই এই অপশনটি বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে।

ব্যাটারির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা

ব্যাটারির কারণেও ফোনের গতি কমে যেতে পারে বলে জানান ক্যারন। আবার নতুন ব্যাটারিতেও যদি ত্রুটি থাকে বা অতিরিক্ত ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলেও সেই ব্যাটারি বিরূপ আচরণ করে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ফোন যদি আইফোন-৬ বা তার উপরের হয়ে থাকে এবং আইওএস যদি আপ-টু-ডেট করা থাকে তাহলে সেটিংস থেকে ব্যাটারিতে গিয়ে ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করে নিতে হবে।

ব্যাটারি হেলথের মান ৮০ শতাংশ থাকলে ভালো হয়। যেহেতু ব্যাটারির বয়স বাড়ে তাই এর শতকরা হারটি নিচের দিকে নামতে পারে। এমনও হতে পারে ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার কোনও ক্ষমতা নেই। সেক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন করে নেওয়াটাই ভালো হবে।

পিক পারফরমেন্স পরীক্ষা করে নেওয়া

ব্যাটারি হেলথ সেগমেন্টের নিচে ‘পিক পারফরমেন্স ক্যাপাসিটি’ নামে একটি অপশন আছে সেটিও দেখে নেওয়া উচিত। এই মেট্রিকটি ব্যাটারি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে থাকে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় সঠিকভাবে কাজ করছে কি না। যদি ব্যাটারিতে সমস্যা দেখা যায় তাহলে তা বদলিয়ে নেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে।

মেমোরি জটমুক্ত করা

স্টোরেজ ক্যাপাসিটি কমে এলেও ফোনের গতি কমে যেতে পারে। স্টোরেজ সম্পূর্ণ অথবা প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সিপিইউ-এর কর্মক্ষমতাতেও এর প্রভাব পড়ে। আইফোনে ক্যাশিং এবং টেম্পোরারি ফাইলের জন্য অন্তত ১০ শতাংশ স্টোরেজ ফাঁকা থাকতে হবে। তাহলে ফোনের সফটওয়্যার অপারেশন সাবলীল থাকবে। 

নিউক্লিয়ার অপশন

সবশেষে যদি কোনও টিপসই কাজে না আসে ডিফল্ট সেটিংসে রিস্টোর করে নিতে হবে। অর্থাৎ ফোনটি কেনার সময় যেমন অবস্থায় ছিল একদম সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

এর মাধ্যমে অনেক লুকায়িত ডাটা পরিষ্কার করা সম্ভব যেগুলো ফোনকে ধীর গতির করে দেয়। তবে এটি করার জন্য প্রথমে ডাটাগুলো ব্যাকআপ করে নিতে হবে। এরপরে ডিভাইস রিস্টোর করে তারপর ব্যাকআপ থেকে রিস্টোর করে নিতে হবে। 

এর মাধ্যমে ফোনে জমে থাকা ক্যাশ ডাটাসহ অন্যান্য স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে। এরপরে শুধু প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ইনস্টল করে নিতে হবে।