Tea Processing Hub : বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কলকাতাতেই এবার টি প্রসেসিং হাবের পরিকল্পনা

এবার কলকাতাতে টি প্রসেসিং হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গে প্যাকেটজাত চা কলকাতা থেকে অন্যত্র পাঠানোর আগে টেস্টিং করা হয়। চা টেস্টিং-এর সময় প্যাকেট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সে কারণ রাজ্য সরকার চাইছে কলকাতাই একটি প্রসেসিং হাব তৈরি করতে। উত্তরবঙ্গে থেকে আসা চা পাতা প্রসেসিং হবে কলকাতার ওই হাবে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই হাব গড়ে তোলা হবে। এর পাশাপাশি বলাগড়ে একটি লজিস্টিক হাবও গড়ে তোলা হবে।

এই দুটি হাব গড়ে তোলা হলে রাজ্যের যেমন আয় বাড়বে। তেমনি আয় বাড়বে বন্দর কর্তৃপক্ষেরও।

গত সোমবার বণিকসভার এক অনুষ্ঠানের পর শিল্প সচিব বন্দনা যাদব বলেন,’কলকাতা বন্দরের কাছে একটি টি- প্রসেসিং হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।’ কলকাতায় এই ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে প্যাকেটজাত চা এনে রপ্তানি করা হয়।

শিল্পসচিব আরও বলেন,’রাজ্যে উৎপাদিত চায়ের একটা বড় পরিমাণ দুবাইতে ব্লেন্ডিং করা হয়। তার পর তা অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়। আমরা চাইছি এখানেই ব্লেন্ড করে বিদেশে রপ্তানি করা হোক। বড় সংস্থাগুলির নিজস্ব ব্লেন্ডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু,ছোট বাগানের মালিকদের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। তাই তাদের পক্ষেও বিষয়টি সুবিধাজনক হবে।’

(পড়তে পারেন। চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে কলকাতা-সিকিম বিমান, চলবে সপ্তাহের সাতদিনই)

সচিব জানিয়েছেন, কলকাতার কাছে বন্দরের কর্তৃপক্ষের থেকে যদি ১০-১২ একর জমি পাওয়া যায়, টি প্রসেসিং হাব গড় তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

লজিস্টিকস হাবের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বলাগড়ে কলকাতা পোর্ট গেটওয়ের কাছে প্রস্তাবিত হাবটি গড়ে তোলা হবে। এই হাবের জন্য মোট লগ্নির পরিমাণ ৪৩৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রথম দফায় বিনিয়োগ করা হবে ১০০ কোটি টাকা। 

এই হাব তৈরির জন্য সব মিলিয়ে ৯০০ একর জমি প্রয়োজন। যার মধ্যে ৩০০ একর বন্দরের জমি। এছাড়া সিইএসসি ও রাজ্যের ৩০০ একর করে জমি রয়েছে।

প্রস্তাবিত এই দুটি হাব প্রসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন জানান, চা প্রসেসিং হাবের প্রস্তাবটি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। বলগড়ের প্রকল্পের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিপিআর (বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট) তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার অর্থ মিললেই কাজ শুরু হবে।