বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গ্রেফতার, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই ছাত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণা করে জমিয়েছিল ওই ছাত্রী বলে অভিযোগ। এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল তার দাদা। এই দাদা আর বোন মিলে একাধিক যুবকের কাছ থেকে টাকা তুলেছিল বলে অভিযোগ। আর তা ফেরত দেওয়ার নামগন্ধ করছিল না কেউ বলে অভিযোগ। তখন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। বিশ্বভারতীর এই ছাত্রীর দাদাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার বোনকে গ্রেফতার করা হল।

এদিকে পুলিশের জালে এখন দাদা আর বোন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। এবার পুলিশের জালে বিশ্বভারতীর ছাত্র্রীর নাম ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খারাপ হচ্ছে বলে খবর। আর্থিক প্রতারণা মামলায় বিশ্বভারতীর ছাত্রী গ্রেফতার করা হয়েছে। এই খবর এখন চর্চিত হচ্ছে শান্তিনিকেতন জুড়ে। আজ, রবিবার ওই অভিযুক্ত ছাত্রীকে আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযুক্ত ছাত্রীর নাম ঈশিতা শীল। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনের ছাত্রী। আজ, রবিবার তাকে বোলপুরের গুরুপল্লী থেকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ।

অন্যদিকে এখন প্রশ্ন উঠছে, কেমন করে প্রতারণা করল ওই ছাত্রী? পুলিশ সূত্রে খবর, এই বছরের‌ গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন চিটফান্ড সংস্থার কেলেঙ্কারি বোলপুরে ধরা পড়ে। ‘এসএস কনসালটেন্সি’ নামে ওই চিটফান্ড সংস্থা খুলে খোলা বাজার থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। তার জেরে ১৫০ জন যুবক প্রতারিত হন। কারণ তাঁদের কাছ থেকেই লক্ষাধিক টাকা তোলা হয়। প্রতারিতরা বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় চিটফান্ড সংস্থার কর্ণধার শুভ্রায়ণ শীল। তদন্তে নেমে পুলিশ তথ্য পায় শুভ্রায়ণ ছাড়াও এই প্রতারণা চক্রে জড়িত তাঁর বোন ঈশিতা। তাই আজ, রবিবার সকালে গুরুপল্লী থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

আরও পড়ুন:‌ রাজ্যবাসীকে নিখরচায় দেওয়া হবে ডায়ালিসিস পরিষেবা, ২৪টি হাসপাতালে মিলবে

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ দাদা আর বোন ছাড়া অন্যান্য অনেকেই এই প্রতারণার কাজে জড়িত। বোলপুর শহরের নানা জায়গায় লোকজন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর এই প্রতারণার কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েকজন টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে একজোট হন। তারপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারিতদের দাবি, খোলাবাজার থেকে টাকা তোলা হচ্ছিল। তারপর দামি গাড়ি, মোবাইল–সহ নানা বিলাসবহুল সামগ্রী কিনে ব্যবহার করছিল দাদা–বোন ৷ মুহূর্তের মধ্যে তাদের জীবনে পরিবর্তন চলে আসে। আর সঙ্গে চলছিল প্রতারণা। এবার গ্রেফতার অভিযুক্তরা।