Chandrababu Naidu Update: ১৪দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, জেলেই কাটবে রাত

বিজয়ওয়াড়ার অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো কোর্ট রবিবার টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল তাঁর। শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীকে চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তেলেগু দেশম পার্টির প্রধানের বাড়িতে ভোর তিনটের সময় পুলিশ হাজির হয়। তিনি সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। এদিকে পুলিশ আসার খবর পেয়েই সেখানে তার অনুগামীরা ভিড় করতে থাকেন। সেকারণে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি।

এদিকে নিরাপত্তারক্ষীরাও জানিয়ে দেন সকাল সাড়ে ৫টা না হলে গ্রেফতার করা যাবে না। এরপর সকাল ৬টায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে ৩৩০০ কোটি টাকার অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন স্ক্যামে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সিআইডি এনিয়ে তদন্তে নামে। প্রাক্তন ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিস অফিসার আর্য্য শ্রীকান্তকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কারণ তিনি ছিলেন ২০১৬ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আধিকারিক।

অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ২০১৬ সালে তৈরি হয়েছিল।এর মাধ্য়মে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হত। সেই সময় অন্ধ্র সরকার ৩৩০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল। সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রি সফটওয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড ও ডিজাইন টেক সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড এই মউয়ের মধ্যে ছিল।

কথা ছিল সিমেন্স বেকারদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৬টা সেন্টার তৈরি করবে। সমস্ত প্রকল্পের ১০ শতাংশ দেবে সরকার। এমনটাই কথা ছিল। বাকি ফান্ডটা দুটো কোম্পানি দেবে।

তদন্তে দেখা যায় কোনও টেন্ডার ছাড়াই গোটা কাজটা হয়েছিল। এমনকী রাজ্য মন্ত্রিসভাও এটা অনুমোদন দেয়নি।

দেখা যায় সিমেন্স কোনও টাকাই বিনিয়োগ করতে পারেনি। ৩৭১ কোটি যেটা সরকার দিয়েছিল সেটা সেল কোম্পানির মাধ্য়মে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। সেল কোম্পানির মাধ্য়মে সেগুলি তারা সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

পরে সিমেন্সের কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখে তৎকালীন প্রকল্প ম্যানেজার সরকারি টাকা হাওয়ালার মাধ্য়মে সরিয়ে দিয়েছিল।