Bankim Setu: মেরামতি চলাকালীন ফের ভেঙে পড়ল বঙ্কিম সেতুর চাঙড়, আহত শিশু

২১ দিনের মাথায় ফের ভেঙে পড়ল হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর চাঙড়। মঙ্গলবার মঙ্গলাহাটে সেতুর চাঙড় ভেঙে পড়ে আহত হয়েছে ৯ বছরের এক শিশু। যদিও তার আঘাত গুরুতর নয়। আহত অবস্থায় শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেতুর মেরামতি চলাকালীন আচমকা চাঙড় ভেঙে পড়ে। এই অবস্থায় সেতুর রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: মেরামতের সময় ভেঙে পড়ল বঙ্কিম সেতুর কংক্রিটের চাঙড়, দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

এদিন মঙ্গলাহাটের উপরের অংশে সেতুর মেরামতির কাজ চলছিল। সেই সময় মঙ্গলাহাটে প্রচুর লোকের ভিড় ছিল। ঘটনাক্রমে তখন পরিবারের সঙ্গে সেতুর নিচে দাঁড়িয়েছিল রনিকা মাঝি নামে ওই মেয়েটি। তখনই সেতুর উপর থেকে কেব্‌ল ডাক্টের একটি স্ল্যাব ভেঙে পড়ে রনিতার উপরে। ঘটনায় চাঙড়ের একটি অংশ মেয়েটির মাথায় লাগে। তবে পুরোপুরি চাঙড়টি তার উপরে পড়েনি। তাহলে সেক্ষেত্রে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের । এই ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ট্রাফিক পুলিশে খবর দেয়। পরে হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ল্যাবের সূচালো অংশ মেয়েটির মাথায় সোজাসুজি পড়েনি। গা ঘেঁষে পড়েছে। তার জন্য সামান্য আঘাত পেয়েছে মেয়েটি। তবে সরাসরি পড়লে সেক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারত। এই ঘটনায় কেএমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ট্রাফিক পুলিশ। তাদের বক্তব্য, সুরক্ষার জন্য সেতুর নিচে জাল পাতার জন্য কেএমডিকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তা করা হয়নি।

যদিও কেএমডি–এর তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম ঘটনার পরেই কাজের সময় বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দফতর থেকে। কাজের সময় সেতুর নিচে জাল পাততে বলা হয়েছিল। কিন্তু, কেন সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করা হবে এবং গাফিলতি প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, গত ২১ অগস্ট ভেঙে পড়েছিল সেতুর কংক্রিটের ব্লকের একাংশ। মহাত্মা গান্ধী রোডের সংযোগস্থলে সেতুর কংক্রিটের চাঙড় ভেঙে পড়েছিল। তবে ঘটনার সময় সেতুর নিচে কোনও মানুষজন ছিল না। সেক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ হয়নি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সেতু সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশে সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে এক্সপ্যানশন জয়েন্টের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। তাছাড়া কিছু জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এরপর সেতু মেরামতে উদ্যোগী হয় কেএমডিএ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেতু মেরামতের জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল পূর্ত এবং নগর উন্নয়ন দফতর।