শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী মৃত্যুর প্রসঙ্গ উঠেছিল আদালতে। মূলত শুভেন্দুর রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলা বুধবার উঠেছিল আদালতে। কিন্তু সেই ঘটনাও হয়েছে প্রায় বছর পাঁচেক আগে। এতদিন পরে কেন সেই অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
এদিকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিচারপতি। এদিকে সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার বিষয়টিও সামনে আসে। এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর যে নিরাপত্তারক্ষী মারা গিয়েছিলেন. তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য দেখুন। তিনি কী বলেছিলেন…
কিন্তু বিচারপতির প্রশ্ন এতদিন পরে এই প্রসঙ্গ কেন? তাছাড়া মৃতের স্ত্রী তো বলেছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স আসতে কেন দেরি করেছিল? বিচারপতি বলেন, ঘটনার পাঁচ বছর বাদে যদি এই নতুন করে মামলা হয় তাহলে এই ধরনের নতুন মামলা কত শুরু হবে ভাবুন। এই ধরনের নতুন মামলা শুরু করার কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে , প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি।
তবে তার আগেই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সেই সময় রাজ্যের ক্ষমতাশালী মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকারণে পরিবারের তরফে ভয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেননি।
মূলত শুভেন্দু অধিকারীর উপর থেকে রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে এদিন রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। এদিকে সোমবার নারদা মামলা নিয়ে আবার নতুন করে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। সেই মামলায় শুভেন্দুকেও টাকা নিতে দেখা হয়েছিল বলে বিগত দিনে একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও জানিয়েছেন, নারদা মামলায় শুভেন্দুকে দিয়ে গ্রেফতারি শুরু হোক। তৃণমূলেরও গ্রেফতারি করা হোক। কিন্তু শুভেন্দুকে দিয়ে শুরু করতে হবে।
কিন্তু শুভেন্দুর উপর রয়েছে রক্ষাকবচ। তবে কি সেই জন্যই এবার শুভেন্দুর উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলতে মরিয়া তৃণমূল?