Sukanta Majumder: নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ, অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজের দাবি সুকান্তর

নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একের পর এক আক্রমণ শানান তিনি।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘এত দিন আমরা জানতাম লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মাথা কালীঘাটের কাকু। কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমার কোম্পানি’। যদি কোম্পানি ওনার হয় ২০১৯ সালের ভোটের হলফনামায় কি কোথাও লেখা আছে যে তিনি এই কোম্পানির সিইও? যদি লেখা না থাকে তাহলে তো উনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। ওনার সদস্যপদ চলে যাওয়া উচিত’।

গত ২১ অগাস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটি সংস্থার নিউ আলিপুরের দফতরে তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, অকারণে হেনস্থা করা হচ্ছে অভিষেককে। এর পর এক প্রেস বিবৃতি জারি করে ইডি জানায়, এখনো ওই সংস্থার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের সভায় ওই সংস্থাকে ‘আমার সংস্থা’ বলে উল্লেখ করেন অভিষেক। বুধবার ইডির জেরার সামলে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও তিনিই।

বিজেপির দাবি, কোনও কোম্পানির সিইও বা ডিরেক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় একথা উল্লেখ করেননি তিনি। এর জেরেই অভিষেকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলছে তারা। বর্তমান লোকসভার কার্যকাল আর কয়েক মাস। এবার দেখার, তার মধ্যে অভিষেকের সাংসদপদ খারিজের দাবি জানিয়ে স্পিকারকে কোনও চিঠি দেয় কি না তারা।