জুন মাসে কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ড অটোয়া ও নয়াদিল্লির মধ্যে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। কানাডা বলেছে, হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকতে পারে এবং ভারত এই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কার করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন নিহত নিজ্জার সম্পর্কে যা জানা গেলো-
- ১৯৭৭ সালে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলান্ধার জেলায় জন্ম নিজ্জারের। ১৯৯৭ সালে তিনি কানাডা গমন করেন। দিল্লিভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট-এর তথ্য অনুসারে, কানাডায় তিনি প্লাম্বার হিসেবে কাজ করেন।
- ভারতের কাউন্টার টেরোরিস্ট ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির মতে, শুরুর দিকে তিনি শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই)-এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দিল্লি বিকেআইকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে এবং দাবি করে, এদেরকে অর্থায়ন করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
- ২০২০ সালে ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছিল, নিজ্জার পরে জঙ্গি গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স (কেটিএফ)-এর প্রধান হন। সদস্যদের সংগঠিত, যোগাযোগ, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
- ভারতীয় কর্মকর্তারা একই বিবৃতিতে নিজ্জারকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, তিনি রাষ্ট্রবিরোধী ও বিদ্রোহে জড়িত এবং দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।
- কথিত শিখ রাষ্ট্র খালিস্তানের সমর্থকদের কাছে নিজ্জার ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
- ভ্যানকুভারের সারেতে শিখদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারার প্রধান হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
- এই গুরুদুয়ারার সামনের ১৮ জুন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
- তাকে হত্যার পর কয়েক হাজার মানুষ ভ্যানকুভারে ভারতীয় কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশিরা জড়িত ছিল।