Jadavpur Ragging: র‍্যাগিং হত সুপারের ওপরেও, স্যারেদেরও রেয়াত করত না যাদবপুরের ‘দাদারা’

ছাত্র মৃত্যুর পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগিং-রোগ নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা উঠে আসছে। কারা র‍্যাগিং করত, কাদের উপর র‍্যাগিং হত তা নিয়ে নানা তত্ত্ব রয়েছে। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য়। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ডিন অফ স্টুডেন্টস ও হস্টেলের দুই সুপার জানিয়েছিলেন তাঁরা র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উলটে তাদেরকে নানারকম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তাঁদেরকেই হেনস্থা করা হয়েছে।

নিহত ছাত্রের বাবা উল্লেখ করেছিলেন হস্টেলের বাবাদের কথা। তারাই হস্টেলের দন্ডমুন্ডের কর্তা। তাদের হাতেই পরিচালিত হত এই যাদবপুর হস্টেল। সেখানে মাথা গলানোর সাহস ছিল না কারোর। আসলে তারা প্রাক্তন ছাত্র। দিনের পর দিন ধরে তারা হস্টেলে কার্যত বেআইনিভাবে ঘর দখল করে রাখতেন। আর সেই সঙ্গেই জুনিয়রদের উপর চলত র‍্যাগিং। তবে এবার সামনে আসছে শুধু জুনিয়ররা তাদের অত্যাচারের শিকার হত এমনটা নয়, স্যারেদেরও রেয়াত করত না তারা।

এমনকী করোনার সময় সেফ হোম খোলার নামে যাদবপুরের অন্দরে কার্যত বহিরাগত সিনিয়রদের ঘাঁটি তৈরি হয়ে যায়। সেখানে নাক গলালেই পরিস্থিতি একেবারে ভয়াবহ। কলার উঁচু করে চলত হুমকি, শাসানি। রজত রায় নিজেই এবার মুখ খুলেছেন কমিটির সামনে। তিনি র‍্যাগিং নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে অপমান, হেনস্থার মুখে পড়তে হত ডিনকে। বার বার বলেও কোনও লাভ হত না।

তবে এর আগেই হস্টেল সুপার এনিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। কী ধরনের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হত সেটা বারবারই সামনে আসছে। তবে এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নয়া অভিযোগ। যেখানে বলা হচ্ছে, র‍্যাগিং নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করলে স্যারেদের উপরেও নেমে আসত অত্যাচারের খাঁড়া।

তাঁদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। এর জেরে দিনের পর দিন ধরে তাঁরা ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু পাশে থাকার মতো কেউ ছিল না। তাছাড়া যেভাবে তাঁদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল তাতে আতঙ্কে গুটিয়ে থাকতেন স্যারেরা।

এদিকে যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাকে। র‍্যাগিংয়ের পরিণতি কী হতে পারে তা ওই মৃ্ত্যু ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছে।