JDU on Women Reservation Bill: নির্বাচনী জুমলা! মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সতর্ক পা ফেলছে JDU, সমর্থন করবে?

সপ্তর্ষি দাস

মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে এবার সতর্ক পদক্ষেপ নিল জনতা দল (ইউনাইটেড)। দলের নেতা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এটা হল একটা নির্বাচনী জুমলা। তবে এটা যদি কোটার ভেতর কোটা থাকে তবে এটা নিয়ে আপত্তির কিছু নেই।

হিন্দুস্তান টাইমসের সুনেত্রা চৌধুরীকে জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিং জানিয়েছেন, আমরা একটা দেশজুড়ে জাতিগত সমীক্ষার দাবি জানাচ্ছি। যদি জনসংখ্যার বিষয়টি ঠিকঠাক বোঝা না যায় তবে সংরক্ষণের কী মানে! একটা সম্প্রদায়ের ইস্যুটা তোলার জন্য় এই সংরক্ষণ। যেমন ওবিসি, ইবিসি। এই সব আরকি। সেকারণেই আমরা বলছি জাতিগত সমীক্ষার কথা। কিন্তু শেষ দিনে এসব ( মহিলা সংরক্ষণ বিল) এনে লাভ কী? এটা আসলে নির্বাচনী জুমলা।

তবে গত ৯ বছর ধরে এই মহিলা সংরক্ষণ বিল একটা ইস্য়ু ছিল। তবে এটা যদি কোটার মধ্য়ে কোটা হয়ে থাকে তবে আমরা সমর্থন করব। জানিয়েছেন তিনি।

নীতীশ কুমারের জেডিইউ আগে এই বিলকে সমর্থন জানায়নি। তবে ২০১০ সালে তারা এটাকে সমর্থন করে। সেই সময় এনিয়ে শরদ যাদবের সঙ্গে নীতীশের দ্বন্দ্বও তৈরি হয়েছিল। জেডিইউ কংগ্রেসের সঙ্গে গিয়ে বলেছিল স্পেশাল সেশনে এটা তুলতে হবে।

তবে কংগ্রেস ও বামেরা এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু আরজেডির লালু যাদব, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির দাবি ছিল পিছিয়ে পড়া মহিলাদের মধ্য়ে থেকে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে।

২০১০ সালে যখন রাজ্যসভায় এই বিল পাশ করা হয়েছিল তখন বিরোধীরা বলেছিল লোকসভাতেও এটা পাশ করতে হবে। এসপি ও আরজেডি এই বিলের ভিত্তিতে আপত্তি জানিয়ে ইউপিএ থেকে সমর্থনও তুলে নিয়েছিল।

এদিকে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দাবি মহিলা সংরক্ষণ বিল, সেটাতো আমাদেরই। নতুন বিল নিয়ে কাউন্টডাউন শুরু হতেই মুখ খুললেন সোনিয়া।

সোনিয়া গান্ধী বলেন, এটা আমাদের। ওহ হমারা বিল হ্যায়। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রবেশের সময়ই তিনি একথা জানিয়ে দেন। ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। কার্যত পরোক্ষে তিনি সেদিকেই নজর ঘোরালেন।

২৭ বছর আগে এইচ ডি দেবেগৌড়া সরকার এই বিলটি উত্থাপন করেছিল। তারপর এনিয়ে পঞ্চমবার সংসদে এল এই বিল।