Supreme Court on VC :সার্চ কমিটি করবে SC, শুনে নিয়োগ সিন্ধান্ত নিয়েও পিছু হঠছেন অস্থায়ী উপাচার্যরা

অস্থায়ী উপাচার্যরা নানাপদে নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছেন। আবার দুই একদিন কাটতে না কাটতেই সেই প্রত্যাহার করেছেন। এই নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে। এর কারণ হিসাবে দুটি মত উঠে আসছে কেউ কেই এর কারণ হিসাবে বলছেন শাসকদলের রাজনীতি। তবে শিক্ষকমহলের মতে এর নেপথ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। শুক্রবার শীর্ষ আদালত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি নিজের হাতে নেয়। এর জন্য রাজ্য সরকার, আচার্য, ইউজিসকে নাম পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের পর অস্থায়ী উপচার্য নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে আসছেন।

পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (বারাসত) শুক্রবারই কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান শাখায় ছমাসের জন্য ডিন নিয়োগ করেছিলেন অস্থায়ী উপচার্য রাজকুমার কোঠারি। সোমবারই সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই চিত্র। ফিনান্স-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েও প্রত্যাহার করছেন।

রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস রাজকুমার কোঠারিকে প্রথমে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন। পরে তাঁকে বারাসত বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব দেন।

(পড়তে পারেন। সিভিক ব্যবহার থেকে ক্ষতিপূরণ, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইকোর্টকে তথ্য দিতে হবে রাজ্যকে)

বারাসতে সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ামক এবং কলেজ পরিদর্শক পদে স্থায়ী কেউ না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়োগের আর্জি জানান। সেই মত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিলেন। কিন্তু সোমবার তা প্রত্যাহার করেন।

কলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ডিন রয়েছেন। তাহলে কেন নিয়োগ করা যাবে না। যক্তি হিসাবে রাজকুমার কোঠারি সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকেই স্থায়ী ডিন ছিল। তাঁদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অস্থায়ী ডিন নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু বারাসতে কোনও ডিন ছিল না।’

তবে তাঁর ঘনিষ্টমহল অন্য কথা বলছেন। অস্থায়ী ডিন নিয়োগ করতে উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে ডিন বাছাই কমিটি গঠনের আর্জি জানাতে হতো। সম্প্রতি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিস্থিতিতে তা অস্বস্তিকর হতো। তা এড়াতেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রত্যাহার করেছেন।

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ফিনান্স অফিসার নিয়োগেরও উদ্যোগ নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তারাও পিছু হঠছে বলে মত শাসকদলের শিক্ষক সংঠনের।