সেরার এখনও বাকি আছে, রাজুর সুরই মন্দ্র সপ্তকে ধরে অস্বস্তি এড়ানোর চেষ্টায় দিলীপ

রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকায় প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানিয়ে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদ্রোহ সামাল দিয়ে ময়দানে নামলেন দিলীপ ঘোষ। রাজুর মন্তব্যের বিরোধিতা না করলেও বুঝিয়ে দিলেন দলের সেরাটা এখনও দেখা বাকি। কিন্তু দিলীপের এই উদ্যোগে বিজেপির অস্বস্তি কাটবে কি?

এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘এটা ঠিকই যে আমার সময় পার্টির ফল ভালো হয়েছে। তার থেকে আরও ভালো ফল হবে। পার্টি তো এখনও ক্ষমতায় আসেনি। (রাজ্য থেকে) লোকসভায় ৫০ শতাংশ আসন এখনও আমরা জিততে পারিনি। তাই করার অনেক কিছুই আছে। তখন আমাদের এত লোক ছিল না। কিন্তু সবাই মন – প্রাণ লাগিয়ে কাজ করেছে। লোকে বিশ্বাস করেছে। আমরা ফলও পেয়েছি’।

দিলীপবাবুর মতে, ‘এখন পার্টি অনেক বড় হয়ে গেছে। তখন লোক কম ছিল একটা সমস্যা ছিল। এখন লোক বেশি হয়েছে একটা সমস্যা আছে। তাই এখন রাজ্যে যারা কাজ করছেন বা অন্য রাজ্য থেকে যে পর্যবেক্ষকরা এসেছেন সবাই মিলে বসে একএক জন কার্যকর্তা সম্পর্কে ভেবে তাদের যোগ্য কাজ দেওয়া উচিত। তাহলে পার্টি যেমন এগোচ্ছিল ঠিক এগোবে’।

রবিবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন বিজেপির পুরনো নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা হচ্ছে নির্বাচন। দিলীপ ঘোষকে সফল বলছেন কেন? পঞ্চায়েত, লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন হোক বা কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি নিরিখে, নানা কর্মসূচি, মিটিং, মিছিল নিয়ে মানুষের মনে একটা জায়গা করেছিলেন। ভোটের ফল বলে দেয় দল ঠিক চলছে না ভুল চলছে। সংগঠন ঠিকঠাক করতে হবে। শুধু হাওয়ায় ভোটে জিতবেন এটা একবার – দু’বার হয়। যারা নেতৃত্বে রয়েছে তাদের ভাবা উচিত আমরা কী ভাবে ৩৫টা আসন পাব। সংগঠনকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে’।

রাজুর মন্তব্যে নিজের স্তুতির অংশটুকু বাদ দিলেও দলীয় কর্মীদের একাংশকে যে কাজে লাগানো হচ্ছে না সেব্যাপারে সহমত পোষণ করেন তিনি। অর্থাৎ, রাজ্য বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ যে রয়েছে তা নিজের মতো করে বুঝিয়ে দিলেন দিলীপবাবু।