Fake doctor: ১৮ বছর ধরে চলছিল ক্লিনিক, গুজরাটে গ্রেফতার বাঙালি ভুয়ো ডাক্তার

ডাক্তারির কোনও ডিগ্রি নেই। অথচ দ্বাদশ পাশ করেই গুজরাটের ভদোদরা জেলার একটি গ্রামে ক্লিনিক খুলে বসেছিল বাংলার এক ব্যক্তি। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই ভুয়ো ডাক্তার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেখানে চেম্বার খুলে রোগী দেখত ওই ভুয়ো ডাক্তার। তার কাছ থেকে রোগীদের ফি সহ ৩২ হাজার টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। রায়পুরা গ্রাম থেকে ওই ভুয়ো থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে ওই ব্যক্তি এত বছর ধরে সেখানে ডাক্তারি প্র্যাকটিস করে গেল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: বাড়িওয়ালার টিউমারের অস্ত্রোপচার করতেই ধরা পড়ল শিলিগুড়ির ভুয়ো চিকিৎসক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম অসীম কুমার শঙ্খারি। ওই ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা। ১৮ বছর আগে ভদোদরায় বসতি স্থাপন করেছিল ওই ব্যক্তি। এরপরে রায়পুরা, খোবলা জেউদা গ্রামে কোনও ডিগ্রি ছাড়াই ডাক্তার হিসাবে রোগী দেখতে শুরু করেছিল। তাকে তালুক থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ওই ভুয়ো ডাক্তারের ক্লিনিক থেকে রোগীদের ফি হিসাবে ১৬৮০ টাকা এবং ওষুধ ও ইনজেকশন মিলিয়ে মোট ৩২,৬২৭ টানা বাজেয়াপ্ত করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অসীমকুমার ১৮ বছর ধরে রায়পুর গ্রামে বসবাস করছিল। ওই গ্রামেই ক্লিনিক খুলে রোগীদের চিকিৎসা করত। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে রোগীদের স্বাস্থ্য নিয়ে হেরফের করার অপরাধে অসমীকুমারের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল প্র্যাকটিস আইনের অধীনে তালুকা থানার পুলিশ মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ডাক্তারদের ডিগ্রি পরীক্ষার জন্য সেখানে ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার। তা সত্ত্বেও কীভাবে ভুয়ো ডাক্তার এত বছর ধরে ক্লিনিক চালিয়ে গেল সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন 

বিষয়টি মেডিক্যাল অফিসারকে অবহিত করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীনাক্ষী চৌহান জানিয়েছেন। তিনি জানান, সময়ে সময়ে মেডিক্যাল অফিসারদের দল গ্রামে প্র্যাকটিস করা ডাক্তারদের সার্টিফিকেট যাচাই করেন। কিন্তু রায়পুরা গ্রামে ১৮ বছর ধরে অনুশীলন করা এই ব্যক্তির সার্টিফিকেট কেন যাচাই করা হয়নি? এবিষয়ে তদন্তকারী মেডিক্যাল অফিসারকে নোটিশ দেওয়া হবে। এদিকে এই ঘটনার পরেই তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রায়পুরা গ্রাম থেকে ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ার পর জেলার গ্রামে গ্রামে প্র্যাকটিস করা সব চিকিৎসকের সার্টিফিকেট পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।   অন্যদিকে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।