Mamata Banerjee: পায়ে চোট, ১০ দিনের বিশ্রাম, দিল্লির কর্মসূচিতে অনিশ্চিত মমতা

দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে কি অংশ নিতে পারবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রাজঘাটে প্রার্থণা এবং পরেরদিন ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ওই কর্মসূচিতে মমতার থাকার কথা। কিন্তু স্পেনে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়ার জন্য তাঁকে কলকাতা ফিরে এসএসকেএম দৌড়তে হয়েছে।

চিকিৎসকরা তাঁকে ১০ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। হিসাব মতো দশ দিন শেষ হচ্ছে ৪ অক্টোবর। ফলে দিল্লিতে দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।

স্পেন-দুবাই সফর সেরে শনিবার রাতে কলকাতা ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পায়ে সামান্য চোট পেয়েছিলেন তিনি। রবিবার বিকালে এসএসকেএম যান ডাক্তার দেখাতে। উডবার্ন ব্লকের ১২ নম্বর কেবিনে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে ১০ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। হাঁটা চলার উপরও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছেন চিকিৎসকরা।

২১ জুলাই শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ করে দিল্লিতে ধর্নার ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সভানেত্রী সেই ধর্নায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।

দিল্লির রামলীলা ময়দানে এই কর্মসূচি করার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু অনুমতি পাওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। একাধিকবার আবেদন জানিয়েও সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। তার বিকল্প কর্মসূচির ঘোষণা করে তৃণমূল।

এই কর্মসূচির সঙ্গে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গেও দেখা করার আবেদন জানিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজ্যে যাঁরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাননি তাঁদের লেখা ৫০ লক্ষ চিঠি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কিন্তু সংসদ চলাকালীন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীর কাছে জানাতে ৩ অক্টোবর তিনি তাঁর মন্ত্রকে থাকবেন কি না উত্তরে গিরিরাজ সিং জানান, ভোট প্রচারের কারণে ৩ ও ৪ তারিখ তিনি থাকবেন না। তবে তিনি চেষ্টা করবেন থাকার।

পায়ে চোট লাগায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির কর্মসূচিতে না থাকার অন্যতম একটা কারণ হতে পারে। চিকিৎসকরা তাঁকে দশ দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। দশদিনের আগেই যদি হাঁটাচলা শুরু করেন তবে ফের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দশদিন পর চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রামলীলা ময়দানে অনুমতি না পাওয়ায়, ছোট করে ধর্না কর্মসূচি হবে। আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সভানেত্রীর না থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। তবে ভার্চুয়ালি ধর্নায় বক্তব্য রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর।