Compensation: রক্ত দেওয়ার সময় শরীরে মারণ ভাইরাস, দেড় কোটি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সেনাকে, সুপ্রিম নির্দেশ

আব্রাহাম থমাস

২০০২ সালে অপারেশন পরাক্রম। সেই সময় মিলিটারি হাসপাতালে বায়ুসেনার এক আধিকারিককে রক্ত দিতে হয়েছিল। আর সেই রক্ত দেওয়ার মাধ্য়মে তাঁর শরীরে বাসা বাঁধে মারণ ভাইরাস HIV। পরবর্তীতে মেডিক্যাল বোর্ডের পরীক্ষায় এটা সামনে আসে। এবার সুপ্রিমকোর্ট ওই অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা আধিকারিককে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনা উভয়কেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। 

ওই প্রাক্তন আধিকারিক আদালতে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁর শারীরিক অবস্থার জন্য তাঁকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, দেশের কাজ করার জন্য় ফোর্সে যোগদান করেন। জীবনকে বলিদান দেওয়ার জন্য তৈরি থাকেন তাঁরা। সেখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা থাকাটা দরকার। 

সেক্ষেত্রে মামলা শুনে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৬ সপ্তাহের মধ্য়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পেনশন, ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে হবে। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ১,৫৪,৭৩,০০০ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মেডিক্যাল ক্ষেত্রে গাফিলতির জেরে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। 

তবে বিচারপতি ভাট জানিয়েছেন, অর্থ দিয়ে এই ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব নয়। তাঁর মান মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এমনকী ফোর্স কীভাবে আবেদনকারীর প্রতি সম্মান ও সমবেদনা দেখায়নি সেটাও তুলে ধরেন বিচারপতিরা। 

তবে আদালত ওই আবেদনকারীর জন্য দুজন সিনিয়র অ্যাডভোকেটও নিয়োজিত করেছে। কারণ তিনি একাই আদালতে এসেছিলেন। তাদের ফি হিসাবে ৫০,০০০ টাকা দেবে সুপ্রিম কোর্টের লিগাল সার্ভিস কমিটি। 

প্রসঙ্গত ওই আধিকারিক ১৯৯৬ সালে ফোর্সে এসেছিলেন। ২০০২ সালে ভারতের সংসদ জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেই সময় ভারত- পাকিস্তান সীমান্তে অপারেশন পরাক্রম চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় অসুস্থ হয়ে জম্মুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সম্মতি ছাড়াই এক ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছিল। 

২০১৪ সালে নিউমোনিয়ার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় আমেদাবাদের মিলিটারি হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি HIV negative। এরপর মুম্বইয়ে হাসপাতালে দেখা যায় তিনি এডসে আক্রান্ত। মেডিক্যাল বোর্ড পরীক্ষা করে দেখে ২০০২ সালে রক্ত দেওয়ার সময় তিনি এডসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তার জেরে  তিনি চাকরি হারিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রে তাঁর নিজের কোনও দোষ ছিল না।