স্বীকৃতিবিহীন ডিগ্রি দেওয়ার বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ দিল্লি হাইকোর্টের। আসলে এনিয়ে একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেখানে আবেদন করা হয়েছিল ইউজিসির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ডিগ্রি অত্যন্ত দরকার। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যাতে সমতা থাকে সেটার জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন। এনিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন আবেদনকারী। এবার দিল্লি হাইকোর্ট ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনকে এনিয়ে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। কার্যত যে ডিগ্রির কোনও স্বীকৃতি নেই সেটাকে ভুয়ো ডিগ্রি বলেও উল্লেখ করা হয় অনেক ক্ষেত্রে। তেমন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবার কড়া হচ্ছে হাইকোর্ট।
রাহুল মহাজন নামে এক ব্যক্তি এই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ইউজিসি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছেন না। এনিয়ে যে নিয়ম রয়েছে সেটারও কোনও ধারাবাহিকতা নেই বলে তিনি দাবি করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি পাচ্ছেন। কিন্তু সেটা ইউজিসির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নয়। এর জেরে সময় নষ্ট হচ্ছে। তাদের প্রচেষ্টা, অর্থ সব নষ্ট হচ্ছে।
তবে এনিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, আইনের মধ্যে থেকে ইউজিসির একটা নির্দিষ্ট কর্তব্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে পড়াশোনার কাজ চলছে সেটাকে দেখভাল করা। যে সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের আনস্পেসিফায়েড ডিগ্রি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা ইউজিসির রয়েছে। এনিয়ে ইউজিসি অ্য়াক্টে তারা জরিমানা করতে পারে।
তবে এবার হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরে শেষ পর্যন্ত ইউজিসি কতটা নড়েচড়ে বসে সেটাই দেখার। কারণ বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় পড়ুয়ারা হাজার হাজার টাকা খরচ করে পড়াশোনা করছেন। কিন্তু সেই ডিগ্রি আদৌ ইউজিসি স্বীকৃত কি না সেটা বোঝা যায় অনেক পরে। ততদিনে যা বিপদ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তবে এবার তাদের জন্য আশার কথা শোনাল দিল্লি হাইকোর্ট।