কত ধরনের কত স্বাদের কফি পাওয়া যায় ক্যাফেতে, দোকানে। আলাদা আলাদা ফ্লেভর, আলাদা গুণগত মান, আলাদা অভিজ্ঞতা সবটাই যেন একটা কফির ধরনকে আরেকটার থেকে আলাদা করে দেয়। আর সেগুলোর হাত ধরেই এই বিশেষ ধরনের সেরা কফিগুলি সামনে উঠে এসছে, জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু জানেন কি কারা নিঃশব্দে এই বিপ্লবটি ঘটিয়েছেন?
টাটা কনজ্যুমার প্রোডাক্ট লিমিটেডের প্যাকেজেড বেভারেজ ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুনীত দাস জানিয়েছেন ভারতে বর্তমানে উৎকৃষ্ট মানের কফির চাহিদা বাড়ছে। টাটা গ্রুপের টাটা কফি এই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। এরাই সিঙ্গল অরিজিন থেকে সেরা মানের আরবিকা কফি দেশে বিক্রি করে থাকে। এই কফিগুলো টাটার কফি এস্টেট থেকে নিয়ে আসা হয়। ছোট ছোট ব্যাচে সাধারণত এগুলো প্রসেস করা হয় যাতে তাদের যে বিশেষ স্বাদ, বিশেষত্ব বজায় থাকে। রোস্ট থেকে মিহি করা অবস্থায় এগুলো তারপর গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
হাইপারলোকালাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ভারতে বহু বছর ধরেই কফি চাষ হয়ে আসছে। এখন দেশীয় কফি স্বাদ অনেকেই পছন্দ করেন। এর চাহিদাও আছেন টাটার তরফে টাটা কফি কুইক ফিল্টার ডিকোকশন লিকুইড নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে গ্রাহকরা সেরা ফিল্টার কফির স্বাদ পেতে পারেন। এর মধ্যে আছে কুর্গ কাপি, ডিগ্রি কাপি। এগুলো আদতে কর্ণাটক এবং তামিল নাড়ুতে চাষ হওয়া কফি। এছাড়া দুর্দান্ত গন্ধ এবং স্বাদ যুক্ত কফির জন্য আছে একটি মিশ্রণ যেখানে কফি বিন গোলমরিচ, দারুচিনি, গুড় মেশানো আছে।
আরও পড়ুন: হার্ট ফেল হলেই কিডনি ফেল? আগাম সতর্কতা দেবে বঙ্গতনয়ার আবিষ্কৃত এই বায়োমার্কার
আরও পড়ুন: আজ আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস, কেন পালিত হয় দিনটি? গান শুনলে শরীরে কী কী বদল আসে
লে পুদুচেরি নামক একটি ক্যাফে যা পুদুচেরিতেই অবস্থিত তার মালিক জানিয়েছেন সেখানকার গ্রাহকরা যে কফি খান এমনটা নয় তার নেপথ্যের গল্প শুনতে বা জানতে চান যে সেটা কোথা থেকে আসছে বা কী। তিনি জানান যে কোল্ড কফির জন্য তাঁরা কেলাগুর হাইটসের গেইশা কফি ব্যবহার করেন আর রেগুলার এসপ্রেসোর জন্য মার্কস কফি বা অরোভিল ব্যবহার করেন।
ফলে বুঝতেই পারছেন এখন খালি কফি মানেই দুর্দান্ত স্বাদ বা সাধের পানীয় নয়। তার উৎপত্তি, ইতিহাসটা জরুরি।