নারীর শরীরে পুরুষের মত দাড়ি-লোম, ট্রোলিং উপেক্ষা করে দিব্যি আছেন খোসি

সাধারণত দাড়ি কিংবা অতিরিক্ত লোমের সঙ্গে আমরা মিলিয়ে দেখি পুরুষ দেহ বা পুরুষ চরিত্র। কিন্তু, বাস্তবে এই পৃথিবীতে সাধারণের বাইরেও বহু বৈশিষ্ট্য আমাদের নজরে পড়ে, যা ব্যতিক্রমী। এমনই ঘটল দক্ষিণ আফ্রিকার এক মহিলার সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ৪২ বছর বয়সী খোসি এনকাইজেনের দেহে এবং মুখে অতিরিক্ত লোম ও দাড়ি লক্ষিত হয়েছে। এই অস্বাভাবিক দৈহিক বৈশিষ্ট্যের ফলে বর্তমানে সংবাদ শিরোনামে খোসি এনকাইজেন।

একটি মিডিয়া সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার এই দেহের জন্য বহু মানুষই তাকে ট্রোল করে এবং সমালোচনার শিকার হতে হয়। এসব সত্ত্বেও তিনি নিজেকে ভালবাসেন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বই সম্পাদনা সংস্থায় ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করছেন। কিশোর বয়সেই তিনি তার শরীরের এই অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন। তিনি এটি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাননি কারণ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এমনই শারীরিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তিনি ভাবেন, এটি কোনও বংশগত বিষয় এবং এটিকে তিনি উপেক্ষা করেন। অতিরিক্ত চুল দেখা দেয় তার মুখ, পিঠ, বুক, বাহু এবং পায়ে।

তিনি এই অবস্থা সম্পর্কে অনেক ডাক্তারের কাছ থেকেই পরামর্শ চেয়েছেন। কিন্তু, তাতে কোনও ফলাফল পাননি। এই ধরনের বৈশিষ্ট্যের কারণে চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। ডেইলি স্টার মিডিয়ার এক প্রতিবেদকের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি চাইলেই সন্তান নিতে পারি এবং হরমোনাল কোনও রকম চিকিৎসার আমার প্রয়োজন নেই।’ একজন পেশাদার চিকিৎসক এই দৈহিক বৈশিষ্ট্যের নাম জানিয়েছেন ‘হিরসুটিজম’। এটি সাধারণত মহিলাদের প্রভাবিত করে এবং এর ফলে কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় অতিরিক্ত চুল গজায়।

খোসির এই দাড়িওয়ালা চরিত্রের জন্য নেটিজনদের কাছে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। বহু ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছেন। এমন কি পুরুষ নাগরিক হিসেবে ডাকা হয়েছে তাকে। এর কিছুর পরেও ৪২ বছর বয়সী খোসি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ভালোই আছেন। তিনি তার শরীরকে ভালবেসে ভালোবেসে এগিয়ে যেতে চান আগামী জীবনে। তিনি এও জানান, তার শরীর কিংবা তার দেহের লোমশ চেহারা নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আগামী জীবনে এগিয়ে যেতে চান।