TMC MGNREGA protest: ‘সবকো সম্মতি দে ভগবান’, ‘দিল্লি চলো’ নিয়ে গান্ধীর বাক্যে TMC-কে কটাক্ষ বোসের

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কার্যত রোজকার অন্যতম আলোচিত বিযয় হয়ে দাড়িয়েছে। এর সাম্প্রতিকতম সংযোজন হল ফিরহাদ হাকিমের দুটি পদে থাকা নিয়ে রাজ্যকে চিঠি। সোমবার গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নাম না করে তৃণমূলের দিল্লি চলো কর্মসূচিকে বিঁধলেরন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

তাঁকে তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন ‘সবকো সম্মতি দে ভগবান’। সাম্প্রতিক রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতে তাঁর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।

মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার গান্ধীঘাটে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং জেলাশাসক এবং মহাকুমাশাসক।

ফেরার সময় তাঁকে তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন অন্দোলন করলে তিনি শুধু বলেন,’সবকো সম্মতি দে ভগবান’। রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আজ শুধু গান্ধীজির দিন।’

(পড়তে পারেন। কেন্দ্রের কৌশল? গিরিরাজের বদলে সাধ্বী নিরঞ্জন দেখা করতে পারেন TMC-র সঙ্গে)

(পড়তে পারেন। বাংলার ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লিতে তৃণমূল, আন্দোলনে জুড়তে পারে নয়া কর্মসূচি)

ফিরহাদ হাকিম একসঙ্গে মন্ত্রী এবং মেয়র কীভাবে, এই প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘একই সঙ্গে তিনি দুটি অফিসে কী করে রেখে দিয়েছেন, এটা কী অফিস অফ প্রফিটের মধ্যে পড়ছে না?’ সোমবার গান্ধীঘাটে রাজ্যপালের মন্তব্যে নতুন করে আগুনে ঘি ঢালল বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজনীতি যখন করছেন তখন কেন্দ্রকে বকেয়া মেটাতে বলতে পারেন। প্রাপ্য টাকা নিয়ে বলতে বাধা কীসের?”

(পড়তে পারেন। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের বাস থামাল গলায় গামছা জড়ানো পুলিশ, দেখুন ভিডিয়ো)

এ দিকে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলেএকটি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন,’জন্মদিবসে বাপুকে স্মরণ করছি। তাঁর সত্য এবং অহিংসার আদর্শ শুধু আমাদের অতীতকেই তৈরি করে দেয়নি, ভবিষ্যতের পথকেও অলঙ্কৃত করে যাচ্ছে’।