১০০ দিনের কাজে ‘সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’, দিল্লির ময়দানে নেমে CBI চাইলেন শুভেন্দুও

দিল্লি যখন যন্তরমন্তরে তৃণমূলের ধর্না অবস্থান চলছে সেই সময় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় ‘সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’ হতে চলেছে এটি। 

সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে যে দুর্নীতির হয়েছে তার সিবিআই তদন্ত দাবি করবেন। 

দিল্লিতে ১০০ দিনের কাজের ‘বকেয়া টাকা’ দাবি করে দুদিনের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সোমবার রাজঘাট থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সোমবার থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে দিল্লি সরব হয়েছে গেরুয়া শিবিরও। সাংবাদিক বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, বাংলার সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী।

তাঁর দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ভুযো জব কার্ড। আধার ও জব কার্ড লিঙ্ক করার সময় ১ কোটি ৩২ লক্ষেরও বেশি কার্ড ডিলিট করা হয়েছে। কেন্দ্রে এই টাকা আটকে রাখাকে কার্যত সমর্থন করে শুভেন্দু বলেন, মনরেগা প্রকল্পের সেকশন ২৭ অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, সোমবার ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ। তিনিও সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। তাঁর সঙ্গে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের।  

(পড়তে পারেন। দিল্লিবাসী সাবধান! তোলামূল ফিল্মসের ‘চোর মচায়ে শোর,’ মজার মিম নিয়ে হাজির শুভেন্দু)

শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, আযুষ্মান ভারত বাংলায় চলতে দেওয়া হয় না। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অন্য হাসপাতালে কাজ করে না। কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। তৃণমূলের ধর্না আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলন করছে তৃণমূল। বাংলা থেকে লোক নিয়ে এসে ফাইভস্টার হোটেলে রেখে নাটক করছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে জন সমর্থন ফেরা এই সব নাটক করছে।  কেন্দ্রীয় প্রকল্প আটকে দিয়ে আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙার চেষ্টা করছে ঘাসফুল।’

কেন্দ্রের টাকা আটকানো অভিযোহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কারও টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।’