US on India-Canada tie: ‘অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কিছু বলতে চাই না’, ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব নিয়ে আমেরিকা

ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে সম্প্রতি সিংহভাগ কানাডিয়ান কূটনীতিবিদকে ভারত থেকে নিজেদের দেশে ফেরানোর জন্য ট্রুডো সরকারকে বলে দিল্লি। এই নিয়েই গতকাল আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল।

ভারতে থাকা সিংহভাগ কানাডিয়ান কূটনীতিবিদকে ভারত থেকে নিজেদের দেশে ফেরানোর জন্য ট্রুডো সরকারকে বলে দিল্লি। এই নিয়েই গতকাল আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে মার্কিন আধিকারিক বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমার কাছে এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো কোনও তথ্য নেই। অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কিছু বলতে চাই না আমরা। ধাপ ধপে কী হয়, তা দেখে নিতে চাই আমরা। কারণ এটা আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনারও অংশ।’

উল্লেখ্য, নিজ্জর হত্যা সংক্রান্ত তথ্য নাকি আমেরিকার থেকেই পেয়েছিল কানাডা। পরে সেই তথ্য থেকেই ভারত যোগের সম্ভাবনার আলো দেখতে পেয়েছিলেন ট্রুডো। যদিও সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ এখনও দিল্লির হাতে তিনি তুলে দেননি। শুধুমাত্র অভিযোগ করেই খালাস ট্রুডো। এর আগে কানাডা নিবাসী বহু খলিস্তানি জঙ্গিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল মোদী সরকার। এদিকে সেদেশে খলিস্তানিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দিল্লি। বিচ্ছিনতাবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য ট্রুডো সরকারের কাছে জানানো হয়েছিল আবেদন।

তবে কোনও কিছুতেই কান দেননি ট্রুডো। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা নিয়ে তাই কানাডায় ট্যাবলো বের হয়। আর সেটাকেই ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ বলে আখ্যা দেন ট্রুডো। এদিকে নিজ্জরের হত্যা প্রসঙ্গে কানাডার অভিযোগ নিয়েও ‘বিরক্ত’ ভারত। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে কানাডার কোনও নাগরিককে ভিসা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ভারত। তারও আগে কানাডা এবং ভারত একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। আর এবার ভারতের তরফে দিল্লিতে কানাডা হাইকমিশনে কূটনীতিক কমাতে বলা হল।

এর আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের মার্কিন সফরকালে নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, ‘ভারত নিজেরাই নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। তবে আমরা দিল্লির কাছে আবেদন জানিয়েছি যাতে কানাডার তদন্তের সঙ্গে তারা সহযোগিতা করে। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙগে বৈঠকে সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন কী বলবেন, সেটা আমি জনসমক্ষে বলব না।’