কামদুনি গণধর্ষণে আনসার, সইফুল, আমিনের ফাঁসির সাজা মকুবের নির্দেশ হাইকোর্টের

কামদুনি গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ৩ মূল অভিযুক্তের মধ্যে ২ জনের ফাঁসির সাজা মকুব করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আরও ১ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে ৭ বছর করেছে আদালত। যার ফলে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেতে চলেছেন তাঁরা। রায় শুনে আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাল্যবন্ধু তথা প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে ছিল কামদুনি গণধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা। রায়ে বিচারপতি জানান, অভিযুক্ত আনসার আলি মোল্লা ও সইফুল আলি মোল্লার ফাঁসির সাজা রদ করা হয়েছে। তার বদলে তাদের আজীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। আমিন আলি মোল্লা নামে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আরেক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত ভোলানাথ নস্কর, ইমানুল হক, আমিনুল ইসলামকে ৭ বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সাজার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ায় জামিনে তাদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই রায় শুনে আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল। তিনি বলেন, আমরা বিচার পেলাম না। সরকারি আইনজীবী টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। তাই এই রায় হয়েছে। আমার বান্ধবী বিচার পেল না।

বলে রাখি, ২০১৩ সালের ৭ জুন রাতে নিউটাউন – খড়িবাড়ি রোড থেকে নির্জন রাস্তা ধরে কামদুনি গ্রামে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় গণধর্ষণের শিকার হন এক কলেজ ছাত্রী। এর পর তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে আততায়ীরা। এই ঘটনায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে বারাসত আদালতে মামলা শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই ১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ২ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে নিম্ন আদালত।