Afghanistan earthquake: দু’দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প, আফগানিস্তানে উদ্ধার ২৪৪৫ জনের দেহ

আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪৪৫ জনের। এছাড়াও আহত হয়েছেন ২০০০ জনেরও বেশি। তালিবান সরকার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপের নিচে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তালিবান সরকারের মতে, দু দশকের মধ্যে এটি হল আফগানিস্তানে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প।

আরও পড়ুন: বিভীষিকার অপর নাম আফগানিস্তান, জুন’২২-এর পুনরাবৃত্তি অক্টোবর’২৩-এ, ভূমিকম্পে মৃত প্রায় ২০০০

শনিবার আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর হেরাটের কাছে একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৩। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল হেরাট শহরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এরপর আরও তিনটি খুব শক্তিশালী আফটারশক আঘাত হানে। সেগুলির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬.৩, ৫.৯ এবং ৫.৫। তাতেই ভেঙে পড়ে একের পর এক ঘরবাড়ি। ৬ গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গিয়েছে।

দুর্যোগ মন্ত্রকের মুখপাত্র জনান সায়েক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৫ হয়েছে। তবে তিনি আহতের সংখ্যা সংশোধন করে ২ হাজারের বেশি বলে জানিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন ৯ হাজার ২৪০ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ১৩২০টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের জুনে পূর্ব আফগানিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। ইরান সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০টি ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল মোতায়েন রয়েছে। সেখানে ৩২০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বারাদার মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।রবিবার বহু মানুষকে স্বজনদের উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছে। কাউকে খালি হাতে আবার কাউকে বেলচা দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চাপা পড়া মানুষদের বের করতে দেখা গিয়েছে। যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন তাদের মুখ ধুলোয় ভর্তি ছিল।জানা গিয়েছে, দুর্বল চিকিৎসা পরিকাঠামোর কারণে শনিবারের ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেই কারণে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আবার ভূমিকম্পের আতঙ্কে বহু মানুষ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে, রাস্তার ধারে এবং পার্কে রাত কাটাচ্ছেন।