বিডিও অফিসের মধ্যে নিজের পেটে নিজেই ছুরি মারলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী

বিডিও অফিসের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা দফতরেরই কর্মীর। বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলির পোলবা বিডিও অফিসে। রক্তাক্ত অবস্থায় শংকর রুইদাস নামে ওই ব্যক্তিকে পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, অন্ত্রের সমস্যায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শংকরবাবু।

পোলবা বিডিও অফিসে ঢ্যাঁড়া পেটানোর দায়িত্বে রয়েছেন শংকরবাবু। লাউড স্পিকারের জমানায় আর সেই কাজ করতে না হওয়ায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ভূমিকা পালন করতেন তিনি। ব্লক অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দফতরের আধিকারিক দফতরের দরজা খুলে দেখেন, দফতরের ভিতরে খালি গায়ে মেঝেয় শুয়ে রয়েছেন শংকরবাবু। তাঁর নাভির কাছে ক্ষত থেকে রক্ষ ঝরছে। পাশে পড়ে রয়েছে একটি ছুরি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠান দফতরের কর্মীরা। সেখান থেকে ইমামবাড়া হাসপাতালে…

দাদপুর থানা এলাকার তালচিনানে বাড়ি শংকরবাবু। ছেলে জানিয়েছেন, বাবা পেটের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। কিছুতেই সারছে না। এই নিয়ে বাড়িতে মাঝেমাঝেই অশান্তি করত। এর আগেও রাগের বশে দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে রক্তাক্ত করেছিলেন তিনি।

বিডিও অফিসের ডেপুটি সেক্রেটারি অরূপ দাস জানিয়েছেন, ‘৪ দিন ধরে শংকরবাবু অফিসে আসেননি। পারিবারিক অশান্তি চলছিল বলে জানতে পারি। বুধবার তিনি যখন এই কাণ্ড ঘটান তখন ঘরে কেউ ছিল না। ফলে ঠিক কী হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। কেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তাও স্পষ্ট নয়।’