Ayodhya mosque: নবীর নামেই অযোধ্যা মসজিদের নামকরণ, নকশা চূড়ান্ত হল মুম্বইয়ের বৈঠকে

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলার প্রস্তাবিত মসজিদের নামকরণ হবে নবী মহম্মদের নামে। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে মুসলিম ধর্মগুরুদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ওই মন্দিরটি তৈরি করবে। ২০১৯ সালে রামমন্দির সংক্রান্ত মামলায় রায়ে আদালত মসজিদ তৈরির জন্য আলাদা জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের পর ধন্নিপুর গ্রামে মসজিদ তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ হয়।

নয়া এই মসজিদের নাম হবে ‘মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ’। দেশের মসজিদগুলির মধ্যে সমন্বয় রক্ষাকারী সংগঠন অল ইন্ডিয়া রাবতা-ই-মসজিদ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

নয়া মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থানটি বাবরি মসজিদের মূল অবস্থান থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে। ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার, প্রস্তাবিত মসজিদের নকশা চূড়ান্ত করতে মুম্বাইয়ে বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ১,০০ আলেম বৈঠক করেন।

(পড়তে পারেন। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে ২১২ ভারতীয় মুখে হাসি ফোটাল ‘অজয়’, তবে এই সবে শুরু) 

(পড়তে পারেন। আটারি সীমান্তে ১১ ফুট উঁচু পাঁচিল টপকে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা ১১ বাংলাদেশির)

বৈঠকের পর উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকি বলেন,’ধন্নিপুর মসজিদের নামকরণ হবে নবী মোহাম্মদ-বিন-আবদুল্লাহর নামে এবং এর নকশা হবে প্রাচীন ইসলামিক স্থাপত্যের অনুকরণে। পুনের স্থপতি ইমরান শেখ এর নির্মাণ তদারকি করবেন।’

তিনি আরও বলেন,’মসজিদের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। আমরা আশা করছি এটি বিশ্বের সবচেয়ে দশর্নীয় মসজিদগুলির একটি হয়ে উঠবে। ঐতিহ্যবাহী রূপ হল এর ডিজাইনের অন্যতম দিক।’

ফারুকি বলেন, ‘মসজিদ, হাসপাতাল, রান্নাঘর এবং লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তহবিল সংগ্রহের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছি। তহবিল সংগ্রহ অভিযান আশাকরি সফল হবে। তহবিল সংগ্রহ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ নির্মাণের কাজও চলতে থাকবে।’

জানা গিয়েছ , মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হলে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ হবে। যেখানে প্রায় ৯০০০ মানুষ প্রার্থনা করতে পারবেন। মুম্বইয়ের বৈঠকে মসজিদের ভিত তৈরির প্রথম ইটটি দেওয়া হয়েছে।