BJP কর্মীদের বিক্ষোভের নেপথ্যে আছে তৃণমূলের টাকা, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে। এ প্রসঙ্গে আজ মহালয়ার সকালে তর্পণ করতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর এবার এনিয়ে তৃণমূল এবং পিকে টিমের বিরুদ্ধে অর্থ বিনিয়োগ এবং উস্কানি দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এদিন সকালে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে তর্পন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। নদীর জলে স্নান করে মন্ত্রচ্চারণের মাধ্যমে তাঁকে তর্পণ নিবেদন করতে দেখা যায়। আর এরপরই সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন।

আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় BJP অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ, আটকে পড়লেন মন্ত্রী সুভাষ সরকার

দলের অন্দরে বিক্ষোভ নিয়ে এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বিজেপি একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। কোনওরকমের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। দল ব্যবস্থা নেবে।’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘এই সময় তৃণমূল এবং পিকে টিম ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। এতে তৃণমূলের উস্কানি এবং অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা দেখেছি তৃণমূল একদিকে এদিকে অর্থ বিনিয়োগ করছে, আবার সিপিএমকেও অর্থ বিনিয়োগ করছে।’ অন্যদিকে, দলের অন্দরের বিক্ষোভ নিয়ে একদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শাস্তির কথা বলেছেন। আবার অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাস্তি না দিয়ে বসে আলোচনার কথা বলেছেন। দলের নেতৃত্বের মধ্যে এই মতভেদ প্রসঙ্গে সুভাষ বলেন, ‘প্রত্যেকেরই নিজের মতামত থাকে। তবে যখন সিদ্ধান্ত হবে তখন দল বসে বিষয়টি ঠিক করবে।’

এদিন তর্পণ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, তিনি যেমন পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তেমনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শহীদদের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করেছেন। তিনি বলেন,  ‘২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে ২৩৭ জন মারা গিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেছি। তার কারণ তারা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন তারা তো মানুষ।’ তাদের মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পুলিশ তাদের খুনে মদত দিয়েছে। এমনকী শাসকদলের লোকেরাও নিজেদের দলের লোকেকে খুন করেছে। বিজেপির মানুষ সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছে। তবে তৃণমূলও মরেছে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলই তৃণমূলকে খুন করেছে। প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে একেবারে ব্যর্থ হয়েছে।’ 

এদিন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা করেন সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল প্রতিবাদ ভোটের আগে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করে। সামনে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগেও তারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করতে পারে। যাতে মানুষ ভয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে না পৌঁছয়।