রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিবুর রহমানকে। তবে বাকিবুরের ডেরা থেকে যেভাবে সরকারি ছাপ যুক্ত স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হচ্ছে তাতে অন্যরকম ইঙ্গিত ক্রমেই সামনে আসছে। তবে তার একার পক্ষে কীভাবে এত বড় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার এনিয়ে মুখ খুলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যতই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ততই বাকিবুরের সম্পত্তির হদিশ মিলছে। একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে তার। কলকাতায় বিরাট বার, চিনার পার্কে হোটেল, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কী নেই বাকিবুরের। কীভাবে এত সম্পত্তি করল বাকিবুর?
সেই সঙ্গেই এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খোঁজ চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কোন রাঘব বোয়ালরা এই ঘটনার পেছনে আছে সেটা দেখা হচ্ছে। এত চালকল, গমকল কীভাবে করল এই বাকিবুর তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। সরকারের কাদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তার? একদিকে শিক্ষা দুর্নীতি। এবার রেশনেও দুর্নীতি! বাকি রইল কী!
তবে সুকান্ত মজুমদার একেবারে খাদ্যমন্ত্রীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। সুকান্ত জানিয়েছেন, এরকম প্রচুর ব্যবসায়ী রয়েছে রাজ্যে যারা পিডিএসের চাল ঘুরপথে অন্য জায়গায় পাচার করেছে। খাদ্যমন্ত্রীরা এর সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গে আগে যিনি খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন তাঁর এলাকাতেই ২০০ ট্রাক ধরা পড়েছিল। পিডিএসের চাল পাচার করার সময়।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, সেই মন্ত্রীর বলার কোনও মুখ নেই। এরপর যা বলবে ইডি ও সিবিআইয়ের কাছে বলবে। সুকান্তর আশঙ্কা, বাকিবুরের বাংলাদেশেও সম্পত্তি থাকতে পারে। কারণ পিডিএসের চাল বাংলাদেশে পাচার হওয়ার সময় এর আগে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিল।
তাঁর মতে বাকিবুরের একার এত টাকা নয়। হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে বাকিবুরের। স্বাভাবিকভাবে এর পেছনে কারও অনুপ্রেরণা রয়েছে। সেই অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেয়েছে সেটা জানা দরকার।
এদিকে এই অনুপ্রেরণা শব্দের মাধ্য়মে তিনি ঠিক কোনদিকে আঙুল নির্দেশ করলেন তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।