Santiniketan: হেরিটেজ স্বীকৃতির ফলকে নাম ছিল না রবি ঠাকুরের,শুধুই মোদী, বিতর্কের জেরে এবার বড় সিদ্ধান্ত

জয়দীপ ঠাকুর

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলককে ঘিরে নানা বিতর্ক। বিশ্বভারতীর হেরিটেজ সম্মানপ্রাপ্তিকে ঘিরে ফলক। অথচ সেই ফলকে জ্বলজ্বল করছে প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্যের নাম। রয়েছে উপাচার্যের নামও। কিন্তু কোথাও রবি ঠাকুরের নাম নেই। তবে এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই সেই পুরানো ফলক সরিয়ে নতুন ফলক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বভারতীর মুখপাত্র মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ফলক অস্থায়ী ছিল। হেরিটেজ সাইটকে চিহ্নিত করার জন্য ওটা বসানো হয়েছিল। তবে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও ইউনেস্কো যে ফলক দেবে সেটাই তার বদলে বসানো হবে।

এদিকে এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসে আগেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

এদিকে এনিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ জহর সরকার। এক্স হ্যান্ডেলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও আচার্য নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগে একটি পোস্ট করেন জহর সরকার। জহর সরকার বলেন, ‘ইউনেস্কো বিশেষভাবে বলেছে যে তারা শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার অনন্য উত্তরাধিকারকে সম্মান করছে। একজন ক্ষমতালোভী উপাচার্য এবং তার বস মনে করছেন ইউনেস্কো তাদের সম্মান করছে।’

সুপ্রিয় ঠাকুর ফোনে জানিয়েছেন, আমি খবরটা শুনেছি। কিন্তু আমি শান্তিনিকেতনে নেই। বর্তমান কর্তৃপক্ষ বিশ্বভারতী থেকে রবি ঠাকুরের নাম তুলে দিতে চায়।

বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের মতে, এএসআইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা অক্টোবরের শেষেই মনে হয় লেখাটা পাঠাবেন যেটা ফলকে লেখা হবে। মহুয়া বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ইউনেস্কোও তাদের লেখা পাঠাতে পারে। তবে সেটা একটু দেরি হবে। তবে অক্টোবরের শেষে এএসআই লেখাটা পাঠাবে মনে হচ্ছে।

শান্তিনিকেতনে হেরিটেজ স্বীকৃতি গোটা দেশের কাছেই গর্বের। এর পেছনে দীর্ঘ প্রচেষ্টা রয়েছে। তবে সেই হেরিটেজ প্রাপ্তিকে চিহ্নিত করে যে ফলক তাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা নিয়েই যত আপত্তি। যত বিতর্ক।