‘ধর্ষণ, ডাকাতি, লুটে মুসলিমরা ১ নম্বরে’- AIUDF নেতা বদরুদ্দিনের মন্তব্যে বিতর্ক

রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের একটি মন্তব্যকে ঘিরে একটু তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।  আজমল সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুটের মতো অপরাধে মুসলিমরা শীর্ষে রয়েছে। এমনকী জেলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও মুসলিমরা শীর্ষে রয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনায় সরব হয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলি। তবে নিজের বক্তব্যেই অনড় রয়েছেন বদরুদ্দিন আজমল। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি ভুল কিছু বলেননি। 

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে ফিরে চতুর্দশী মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার, গর্ভবতী হয়ে পড়ল কিশোরী

গত ২০ অক্টোবর অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় একটি সভায় বক্তৃতা রাখেন আজমল। সেখানে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষাগত ত্রুটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, শিক্ষার অভাবের কারণেই মুসলমানদের মধ্যে অপরাধের হার বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ, ডাকাতি, লুটের ঘটনায় আমরা মুসলিমরা ১ নম্বরে আছি।জেলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা ১ নম্বর। আমাদের সন্তানেরা স্কুল-কলেজে যাওয়ার সময় পায় না, কিন্তু জুয়া খেলার জন্য সময় পায়। মানুষ চন্দ্র-সূর্যে যাচ্ছে, আর আমরা পিএইচডি করছি কীভাবে জেলে যেতে হয়। এই ধরনের সমস্ত ভুল কাজের জন্য কে জড়িত তা জিজ্ঞাসা করুন। এরা মুসলমান। এটি দুঃখজনক।’ এপ্রসঙ্গে আজমল মুসলিম যুবকদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরার ডাক দেন।

উল্লেখ্য, অসমের রাজনীতিতে এআইইউডিএফের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। রাজ্যের ১২৬ জন বিধায়কের মধ্যে এই দলের বিধায়কের সংখ্যা ১৫ জন। তিনি মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুসলিম পুরুষরা যেন এই কাজ থেকে দূরে থাকে তারজন্য তিনি মেয়েদের খারাপ নজরে না দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ যখন কোনও বাজারে বা কোনও পাবলিক প্লেসে যাই এবং মহিলাদের দেখি তখন আমাদের দূরে তাকাতে হবে৷ মনে রাখা উচিত যে প্রত্যেকের পরিবারেও নারী আছে। তারা যদি তাদের মা-বোনদের কথা ভাবে, তাহলে তাদের কখনই খারাপ চিন্তা আসবে না।’

মুসলিম নেতার মতে, নিম্ন সাক্ষরতার হার মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নের অভাবের জন্য বড় কারণ। এরজন্য সরকারকে দায়ী না করে নিজেদের সমস্যার আগে সমাধান করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।আজমলের এই মন্তব্যের পরে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। তবে নিজের বক্তব্যে অনড় রয়েছেন মুসলিম নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার অভাব দেখেছি। আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি যে আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে না, উচ্চ শিক্ষার জন্য যায় না, এমনকী মাধ্যমিকও করতে পারে না। তরুণদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করার জন্য আমি একথা বলেছি।’