Homeopathy With AI: পথ দেখাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বদল আসছে বড়সড়

ডক্টর মুকেশ বাত্রা

 

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তির এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের প্রযুক্তিতেও উল্লেখযোগ্য বদল এসেছে। যুগান্তকারী আবিষ্কারগুলি চিকিৎসার মানকে উন্নত করেছে। টেলিমেডিসিন এবং ওয়্যারেবল গ্যাজেট থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড, সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষের কাছে সহজ করে তুলেছে।

(আরও পড়ুন: হ্যালোইনকে ঘিরে আছে বহু মিথ, কেন ৩১ অক্টোবর এই উৎসব পালিত হয়, চমকে উঠবেন জানলে)

ড্রোন এবং রোবোটিক্স চিকিৎসা পরিষেবার গতি এবং দক্ষতা বাড়িয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যের জগতে একরকম বিপ্লব ঘটে গিয়েছে। এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা ও ওষুধ পৌঁছে দিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটিকেও দূর করা হয়েছে এগুলির সাহায্যে। চিকিৎসকদের ভার্চুয়াল পরামর্শ পাচ্ছে রোগীরা। অসুখের গুরুতর লক্ষণগুলি নজর রাখা ছাড়াও অন্যান্য পরিষেবায় রোবটগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে দিন দিন।

হোমিওপ্যাথি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

সবচেয়ে ভালো হোমিওপ্যাথিক থেরাপি শনাক্ত করতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য যেমন রোগলক্ষণ, চিকিৎসার ইতিহাস এবং পরিবেশগত কারণগুলি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এতে চিকিৎসার ত্রুটির আশঙ্কা কমছে। একইসঙ্গে বাড়ছে রোগ মূল্যায়নের গতি। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীরা যাতে সেরা চিকিৎসা পান, সেটাও নিশ্চিত করতেই প্রযুক্তির হাত ধরেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এছাড়াও, এআই বিভিন্ন উপসর্গ এবং অসুস্থতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। এই বিষয়টি হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে নতুন অন্তর্দৃষ্টি তুলে ধরছে।  একইসঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও উন্নত করছে।

(আরও পড়ুন: রেস্তরাঁয় খাওয়ার পর মৌরি খেতে ভালো লাগে? একটি ‘গুণ’ জানলে পরের বার সতর্ক থাকবেন)

কমবেশি ৯৮ হাজার পারমুটেশন এবং কম্বিনেশন রয়েছে যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জন্য সঠিক ওষুধের সঙ্গে মিলে যায়। এআই একটি বোতামের চাপেই নিখুঁত চিকিৎসা খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে। একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এরপর তাঁর রোগীদের জন্য সেরা চিকিৎসার জন্য তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করতে পারেন। হোমিওপ্যাথিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ২০৪৭ সালে ভারতকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে দেবে।

(লেখক পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ)