GST evasion: ৩০টি ভুয়ো সংস্থা চালিয়ে ১৩৯ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি, ধৃত কলকাতার ব্যবসায়ী

জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে কলকাতায় গ্রেফতার হলেন আরও এক ব্যবসায়ী। ১৩৯ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে ভুয়ো সংস্থা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ধৃত ব্যবসায়ীর নাম রাজেশ শাহ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তার ট্রেডিংয়ের ব্যবসা রয়েছে। বছরে প্রচুর পরিমাণে অর্থ লেনদেন হওয়া সত্ত্বেও জিএসটি জমা করেননি ওই ব্যবসায়ী। তারভিত্তিতে গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন।

আরও পড়ুন: ৫৭,০০০ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি, শেল কোম্পানির আড়ালে এসব কী?

জিএসটির গোয়েন্দারা তদন্ত নেমে জানতে পারেন, ওই ব্যবসায়ীর বছরে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ হল ১৩০৮ কোটি টাকা। তা সত্ত্বেও সরকারি কোষাগারে জিএসটি জমা করেননি তিনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে তদন্ত শুরু করেন জিএসটির গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে তারা জানতে পারেন, ওই ব্যবসায়ীর নামে এবং বেনামে ৩০ টি সংস্থা রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা ভুয়ো। এই সমস্ত সংস্থাগুলির মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ী জামা কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনা বেচা করতেন। একই সঙ্গে তদন্তে গোয়েন্দারা আরও জানতে পারেন ওই ৩০ টি সংস্থার মালিক হলেন ওই ব্যবসায়ী। এই সংস্থাগুলির ব্যবসার জন্য জিএসটির পরিমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩৮ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু, সেই জিএসটি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।

এরপর জিএসটির গোয়েন্দারা বেলেঘাটার অফিসে ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠান। সেই মতোই ব্যবসায়ী দফতরে হাজিরা দেন। তখনই একের পর এক জেরার মুখে পড়ে ব্যবসায়ী জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। এর পরে তাকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। আধিকারিকদের মতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ফাঁকি দিয়ে তিনি সরকারের ক্ষতি করেছেন। ব্যবসায়ীর সঙ্গে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। গোটা দেশে গত এক বছরে ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ১৫,৫৬২টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে এবং ১৯০ জনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে সরকার মোট ৩৩,২২৬ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে। অন্যদিকে, জিএসটি ফাঁকি রুখতে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে। সে ক্ষেত্রে বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে অর্থ দফতর। এছাড়া ভুয়ো করদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে।