Supreme Court to Governors: ‘নিজের আত্মাকে খুঁজে বের করুন’, বিল সই না করা নিয়ে রাজ্যপালদের বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরল সহ বহু অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যেই রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে বিল সই না করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে এবার বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যপালদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালের বার্তা, ‘নিজেদের আত্মাকে খুঁজে বের করুন’। সোমবার এক মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালদের অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে তাঁরা রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন এবং নির্বাচিত সরকারের আইন প্রণয়নের উপর তাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে পঞ্জাব বিধানসভায় পাশ হওয়া চারটি বিলে তিনি সই করছেন না। তিনি বিলগুলিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অস্পষ্ট কারণে আটকে রেখেছেন। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। আর তার প্রেক্ষিতেই সার্বিক ভাবে এই বার্তা দিল শীর্ষ আদালত। (আরও পড়ুন: মন্ত্রীর নামে পুরনো মামলা শুরুর নির্দেশ HC-র, ‘থ্যাঙ্ক গড…’, প্রশংসায় CJI)

বিল সই না করার ট্রেন্ড নিয়ে গতকাল উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পর্যবেক্ষণ করেন, প্রত্যেকটা বিলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে আদালতে যেতে যাতে বাধ্য না করেন রাজ্যপালরা। বিল সই না করার ট্রেন্ড প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত বলে, ‘তেলাঙ্গানাতেও এটা হয়েছে। অন্যান্য আরও রাজ্য আছে যারা পড়ে থাকা বিলে রাজ্যপালের সইয়ের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কেন রাজ্য সরকারকে এই কারণে বারবার আদালতে আসতে হবে? সরকার আদালতে যাওয়ার আগেই পদক্ষেপ করা উচিত রাজ্যপালদের। দেখা যাচ্ছে, সরকার যখন সুপ্রিম কোর্টে আসছে, তখন গিয়ে রাজ্যপাল নিজের কাজ করছেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’

এদিকে পঞ্জাবের রাজ্যপালের হয়ে এই মামলায় সওয়াল জবাব করছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সুপ্রিম কোর্টকে তুষার মেহতা জানান, বিল নিয়ে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করেছেন। প্রয়োজনে এর স্টেটাস আপডেট তিনি শীর্ষ আদালতে জমা দিতে পারেন। এই আবহে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১০ নভেম্বরে ধার্য করে সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে তেলাঙ্গানাতে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখানকার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরাজন বেশ কয়েকটি বিলে সই করেননি। এর জেরে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই রাজ্যের সরকার তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কিছু সময় আগে রাজ্যপাল তিনটি বিলে সই করে দেন। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ২০০ নং অনুচ্ছেদের ১ নং ধারার উল্লেখ করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিল পেশের পরে রাজ্যপাল যত দ্রুত সম্ভব তাতে সই করে দেবেন বা সেটা যদি আর্থিক বিল না হয়, তাহলে তিনি তা ফেরত পাঠাতে পারেন।

এর আগে গত এক সপ্তাহে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল সই না করার অভিযোগ জানিয়ে তামিলনাড়ু এবং কেরলও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই সব মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে সব রাজ্যপালদেরই বার্তা দেওয়া হল। পঞ্জাবের মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘রাজ্যপালের উচিত নিজের আত্মাকে খুঁজে বের করা। মুখ্যমন্ত্রীরও উচিত নিজের আত্ার সন্ধান করা। আমাদের সংবিধানের জন্ম থেকেই আমরা একটি গণতন্ত্র। রাজ্যপা এবং মুখ্যমন্ত্রীর উচিত নিজেদের মধ্যে এই বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া।’