বগুড়ার শাজাহানপুরে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকেও আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতার নাম আহসান হাবিব রবি।
শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জানান, আহসান হাবিব রবি তার সংগঠনের মাঝিরা ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ভুলে তার নাম এজাহারে চলে এসেছে। চার্জশিটে তার নামটি বাদ যাবে।
মামলার বাদী শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মাঝিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তারেক হোসেন সুমন জানান, আহসান হাবিব রবি জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। এখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে জড়িত তা জানা ছিল না। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তার আসামি থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক দায়িত্বশীল নেতা ব্যক্তি স্বার্থে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে দলে ভিড়িয়েছেন। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯০ শতাংশ বিএনপি ও জামায়াত থেকে আসা। আর এ বিষয়টি সবার জানা।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের প্রথম দিন গত ৩১ অক্টোবর সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা শাজাহানপুরের বেতগাড়ি বাইপাস মোড়ে মহাসড়কে পিকেটিং করেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহবার হোসেন ছান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক আরজুর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে বনানী মোড়ে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যাচ্ছিলেন। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন ও সাতটি মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। ককটেল
বিস্ফোরণ ঘটালে সোহরাব হোসেন ছান্নু ও জাহিদুল হক আরজুসহ ৮/১০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারেক হোসেন সুমন বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অনেককে আসামি করে মামলা করেন। পরে দেখা যায় ২২ নম্বর আসামি করা হয়েছে আহসান হাবিব রবিকে। তিনি পেশায় ঠিকাদার ও সাজাপুর চকপাড়ার ময়না মিয়ার ছেলে।
এ প্রসঙ্গে আহসান হাবিব রবি জানান, তিনি শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যক্তি আক্রোশে তাকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নাশকতার মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলছে; শেষ হলে রবি হামলার ঘটনায় জড়িত কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।