সুলভ শৌচালয়ে কি বাড়তে চলেছে রেট?‌ স্পষ্টভাষায় জবাব দিল কলকাতা পুরসভা

সুলভ শৌচালয় বা পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ব্যবহার করার দাম কি এবার বাড়ছে?‌ শহর কলকাতা জুড়ে এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ টালিগঞ্জ মেট্রোর অদূরেই রয়েছে কলকাতা পুরসভার সুলভ শৌচালয়। সেখানে টাঙানো রয়েছে রেট চার্ট। হরেকরকমের কাজের জন্য হরেকরকম দাম সেখানে জ্বলজ্বল করছে। ফেস ওয়াস করা থেকে শুরু করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া পর্যন্ত কাজের দামের তালিকা আলাদা। এমনকী যার জন্য পকেট থেকে বেশ অনেকটা রেস্ত খসাতে হবে। কলকাতা পুরসভার তালিকা অনুযায়ী, প্রস্রাব করার জন্য ১ টাকা আর পায়খানার জন্য ২ টাকা দিতে হয়। এই দাম আর বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এখন শহরের কিছু সুলভ শৌচালয়গুলিতে চলছে ‘নিজস্ব রেট চার্ট’। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে, দাম কি বাড়ল?

এদিকে কলকাতায় ৪০০টির বেশি পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট রয়েছে। সেখানে রোজ লাখ লাখ মানুষ জল বিয়োগ থেকে শুরু করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন। আর যৎসামান্য অর্থ খরচ করেই কাজ সারতে পারেন। সেখানে এমন চার্ট নজরে আসতেই মানুষজনের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, প্রস্রাব–পায়খানা করতে এবার কি বাড়তি কড়ি গুণতে হবে?‌ সাধারণ মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেই কলকাতা পুরসভা দাম বাড়ায়নি। আর যে রেট চার্ট এখন দেখা যাচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ নিজস্ব। এই সুলভ শৌচালয়গুলি ব্যবহার করার জন্য ন্যূনতম অর্থ খরচ করতে হয়। সেখানে এমন রেট চার্ট ভাবিয়ে তুলেছে মানুষজনকে।

ঠিক কী বলছে কলকাতা পুরসভা?‌ অন্যদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন কলকাতা পুরসভার কর্তাব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে জানান, এখন সুলভ শৌচালয়ে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁর কথায়, ‘‌আমরা শহরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেটগুলি সাজিয়েছি সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে। এখনও আগের মতো দামই আছে। এসব বাড়ানো হয়নি। তবে কলকাতা পুরসভার কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। বেশি টাকা নেওয়ার ঘটনা সত্যি।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌শুভেন্দু গ্রেফতার হবে, লিখে রেখে দিন’‌, নন্দীগ্রামের শহিদ দিবসে দাবি করলেন কুণাল

আর কী বলছেন মেয়র পারিষদ?‌ এই কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। তিনি বলেন, ‘‌এই অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই নোটিশ ধরানো হচ্ছে। দুর্গাপুজোর সময়ও সুলভ শৌচালয়গুলি সারারাত খোলা ছিল। কিছু মানুষ বলছেন এই শৌচালয়গুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে তাঁরা একটাকা বেশি দিতে চান। তবে কোথাও বাড়তি অর্থ নিলে সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন। তার প্রেক্ষিতে পুরসভা ব্যবস্থা নেবে। আমরা সুলভ শৌচালয়ের রেট বৃদ্ধির কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে মেয়রের অনুমতির প্রয়োজন হয়।’‌