‘‌ভোট বাক্সের ভোটটা কোথায় যায়?’‌ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়লেন শতাব্দী

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। আর আজ, শুক্রবার বীরভূমে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। ভোট নষ্ট করা যাবে না বলে তিনি বার্তা দেন। তবে কেমন করে এখানের মানুষজন বা কর্মীরা ভোট নষ্ট করেছেন সেটা তুলে ধরেন সাংসদ শতাব্দী রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বিকল্প নেই সেই তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে বার্তা দেন বীরভূমের সাংসদ।

ঠিক কী বলেছেন সাংসদ?‌ এখন বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে বন্দি। এই অবস্থায় সংগঠন শক্তিশালী রাখতে হবে। কারণ এদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি। তাই শতাব্দী রায় সুর চড়িয়ে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‌কাজের পর, মানুষের পাশে থাকার পর, রামপুরহাটে সব থেকে বড় মিছিল বেরোনোর পরেও ভোট বাক্সের ভোটটা কোথায় যায়? যে মিছিল মহামিছিলের আকার নিল সেখানে ভোট কমল কেন?‌ আমি এটাই জানতে চাই। সুতরাং রামপুরহাট টাউনের ভোট মেলেনি বোঝাই যাচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে?‌’‌ দলের কর্মীদের উদ্দেশে আজ বীরভূমের রামপুরহাটে একটি সরকারি স্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এই কথা গুলি বলেন শতাব্দী রায়।

ভোট নষ্ট কেমন করে?‌ আবার গত তিনবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন শতাব্দী রায়। তার এই আবহে তিনবার বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছে। সবকটি নির্বাচনেই রামপুরহাট শহর এলাকায় ভোটে পিছিয়ে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে সাংসদ শতাব্দী রায়ের বক্তব্য, ‘‌রামপুরহাট টাউন আমাকে ভোট দেয়নি। তাতে কি আমাকে হারানো গিয়েছে?‌ যাঁকে ভোট দিলেন তিনি কি জিতেছেন?‌ কোনটিই হয়নি। অর্থাৎ আপনাদের ভোটটি নষ্ট হয়েছে। এভাবে ভোট নষ্ট করা যাবে না। আমরা তো রামপুরহাট টাউনের জন্য কাজ করছি। রাজ্য সরকারের নানা সাহায্য আপনারা সারা বছর পেয়ে থাকেন। সুতরাং সারা বছর যারা পরিষেবা দিচ্ছে, ভোটের সময় তো তারা আপনাদের ভোটটা আশা করতে পারে।’‌

আরও পড়ুন:‌ আগামী বছর দুর্গাপুজোয় দু’‌সপ্তাহ মিলবে ছুটি, ‘‌নো অফিসের’‌ তালিকা ঘোষণা করল নবান্ন

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যে টাফ ফাইট সেটা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ বিজেপি জোরকদমে নেমে পড়েছে। ইডি–সিবিআই রাজ্যে দাপট দেখাচ্ছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাংগঠনিক দুর্গ অক্ষত রাখতে হবে। এই আবহে এদিন শতাব্দী রায় বলেন, ‘‌আপনারা সারা বছর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের সাহায্য পান নাকি পান না। সরকারি পরিষেবা পান তো। তাহলে ভোটটা কেন আমাদের দেবেন না?‌ এটা জানতে চাইছি। যদি এখন তিন মিনিট সময় দিয়ে বলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প আর একটা নেতার বা নেত্রীর নাম বলুন, বলতে পারবেন?‌ পারবেন না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই বাংলায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। আপনারা পাশে থাকুন।’‌ শতাদী রায় যখন কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর আক্ষেপের কথা বলছিলেন তখন মঞ্চে বসে ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।